পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লাগিল। আমি ভীতস্বরে বলিলাম, “আমারই নাম হরচন্দ্ৰ স্মৃতিতীর্থদেখি কি টেলিগ্ৰাম!” পিয়ন আমার হাতে টেলিগ্রাম দিলে আমি তাহার কাগজে সহি দিলাম এবং সে কিঞ্চিৎ পারিশ্রমিক প্রার্থনা করায় তাহাকে তাড়াতাড়ি চারি। আনা পয়সা দিয়া আমার প্রতিবেশী বাসুদিগের বাড়ী টেলিগ্ৰাম পড়াইতে লইয়া গেলাম। বসুদের ছেলে খগেন্দ্ৰ টেলিগ্রাম পড়িয়া বলিল যে, টেলিগ্রামে লেখা আছে সুধাংশু অত্যন্ত পীড়িত, আমাকে অবিলম্বে যাইতে লিখিয়াছে। এই সংবাদ পাইয়া আমার মাথায় আকাশ ভাঙ্গিয়া পড়িল । আমি কেমন করিয়া বাড়ী ফিরিয়া আসিব তাহা ভাবিতে লাগিলাম ; কিন্তু আর বিলম্ব করিবার সময় ছিল না । দিদির নিকট গোপন করিবারও প্রয়োজন বুঝিলাম না ; কারণ অদৃষ্ট কি আছে বলা যায় না, তঁহাকে সঙ্গে লইয়াই যাইব । * তখনই বাড়ীতে আসিয়া দিদিকে টেলিগ্রামের কথা বলিলাম । তিনি এই সংবাদ শুনিয়া চীৎকার করিয়া কঁাদিয়া উঠিলেন। প্ৰতিবেশিনীরা আসিয়া তাহাকে সাস্তুনা দিতে লাগিলেন। সকলেই বলিতে লাগিলেন, “অসুখ হয়েছে, সেরে যাবে। আগে কেঁদে কেটে অকল্যাণ করতে নাই,- এখন তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যাবার আয়োজন কর।” দিদিকে লইয়া তৎক্ষণাৎ কলিকাতা যাত্ৰা করিলাম। গাড়ী যখন হাওড়া ষ্টেশনে পৌছিল, রাত্রি তখন সাড়ে এগারোটা। তাড়াতাড়ি একখানি গাড়ী ভাড়া করিয়া সুধাংশুদের বাড়ী ভবানীপুরে উপস্থিত DBBB S DDDD BDBDB DDBD BBS BD DDB BD BDBB BDDS কার-কেবল সদর দরজায় একটি আলো জ্বলিতেছে। বাড়ী নিস্তব্ধ এবং অন্ধকার দেখিয়াই আমি বুঝিলাম-সব শেষ হইয়াছে। বাড়ীর সম্মুখে গাড়ী লাগিল। আমি নামিয়া পড়িলাম ;-দিদিরও বিলম্ব সহিহ্ম እ Sb”