পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাহার পর যদি দুৰ্ম্মতি হয়, তাহা হইলে বিবাহ করিয়া ঘোর সংসারী। হইব । এখন দেখিতেছি, সে সকল কল্পনাতেই রহিয়া গেল। যে কয়দিন বাচিয়া আছি, বার বৎসর বয়সের বিধবা বালিকাকে লইয়া জ্বলিতে হইবে, পুড়িতে হইবে। দিদির যে প্রকার শরীরের অবস্থা দেখিলাম, তাহাতে তিনি যে অধিক দিন বঁাচিবেন, তাহার সম্ভাবনা খুবই কম। দিদির ভাল মন্দ হইলে সুরমাকে লইয়া কি করিব, সেই ভাবনাই আমার প্ৰবল হইল। শ্বশুরবাড়ী ! সে সম্বন্ধ ত গঙ্গার তীরে চিতাভস্মে বিলীন হইয়া গিয়াছে। সেখানে সুরমাকে পাঠাইতে পারিব না । মনে মনে সঙ্কল্প করিলাম সুরমাকে শাস্ত্ৰাধ্যয়নে নিরত করিব । আমাদের ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰ যাহা পড়িয়াছি, তাহা তাহাকে পড়াইব ;-যাহা পড়ি নাই তাহা নিজে পড়িয়া তাহাকে পড়াইব-চতুষ্পাঠী তুলিয়া দিব-সুরমাকে শিক্ষা প্ৰদান করাই আমার জীবনের একমাত্ৰ উদ্দেশ্য হইবে। এই সংকল্পে আমার মন স্থির হইল-বৰ্ত্তমান গভীর শোকে আমি কিঞ্চিৎ भांख्ठि कांड कब्रिक्षांभ । মানুষের কি বুদ্ধি। সে মনে করে, সেই বুঝি তাহার কাৰ্য্যের কৰ্ত্তা, তাহার সঙ্কল্পসিদ্ধি তাহারই হাতে রহিয়াছে ; কিন্তু আর একজন আছেন, যিনি তোমার কল্পনা, তোমার সঙ্কল্প কিছুরই ধার ধারেন না। তুমি ইচ্ছা কর বা না কর—তাহার কাৰ্য্য তিনি করাইয়া লইবেন। আমারও তাহাই হইল। দশদিনও বিলম্ব সহিল না— ইহারই মধ্যে আমার কল্পনা কোথায় উড়িয়া গেল, আমার জীবনের উদ্দেশ্য কোথায় ভাসিয়া গেল। অদৃষ্টদেবীর নিৰ্ম্মম কঠোর বিধানে আমার কি হইয়াছিল, তাহাই বলিতেছি। সুরমাকে বাড়ী লইয়া আসিবার তিন দিন পরেই একাদশী তিথি আসিয়া উপস্থিত হইল। একাদশীর পূর্ব দিন দিদি আমাকে বলিলেন YSo