পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“হরচন্দ্র, কাল যে একাদশী। কেমন করিয়া ঐ কচি মেয়েকে এই সময়ে উপবাসী রাখব।” কথাটা আমি ভাবি নাই-কথাটা আমার মনেও হয় নাই। দিদি যখন একাদশীর কথা তুলিলেন, তখন আমি বুঝিতে পারিলাম বার বৎসরের মেয়ের পক্ষে একাদশীর ব্যবস্থা কি ভয়ানক ! পাঁচদিন পূৰ্ব্বে যাহাকে দিনের মধ্যে কতবার খাওয়াইলেও তাহার ক্ষুধার নিবৃত্তি হইত না, আজ এই পাঁচদিন পরে তাহার জন্য একাদশীর ব্যবস্থা করিতে হইবে ;-ব্ৰাহ্মণের বিধবা-নিরস্তু একাদশী। স্মৃতিশাস্ত্ৰে পণ্ডিত আমি-অনেকের অনেক ব্যবস্থা দিয়াছি, কিন্তু আজ বিধবা ভগিনীর দ্বাদশ বর্ষীয়া বিধবা কন্যার নিরস্তু একাদশীর ব্যবস্থা দিতে আমার প্রাণ কঁপিয়া উঠিল। আমি কিছুক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয়া বলিলাম, “ও কথা আর আমার কাছে তুলিছ কেন দিদি ? যা ব্যবস্থা হয় डूभिछे कब्र।” পর দিন একাদশী ;-সুরমার জন্য নিরস্তু উপবাসের ব্যবস্থা হইল। ব্ৰাহ্মণ পণ্ডিতের পরিবার, মহামহোপাধ্যায় স্বগীয় জয়চন্দ্র তর্কালঙ্কারের গৃহে তঁহার পণ্ডিত পুত্র আমি শ্ৰীহরচন্দ্ৰ স্মৃতিতীৰ্থ বর্তমান-আমার ভাগিনেয়ীর জন্য অশাস্ত্রীয় ব্যবস্থা হইবে কেন ? শাস্ত্রের আদেশ অমান্য করিলে আমাদের চলিবে কেন ? আর যে হয় স্লেচ্ছাচুরিপরায়ণ হইতে পারে, কিন্তু আমরা শাস্ত্রের বিধান কিছুতেই লঙ্ঘন করিতে পারি। না। তাহার জন্য যদি জীবন বিয়ার্জন দিতে হয়, তাহাও অকাতরে দিতে হইবে। ব্ৰাহ্মণ পণ্ডিতের ঘরে জন্মগ্রহণ করিয়া, দেশপূজ্য পণ্ডিতের দুহিতা আমার দিদি র্তাহার দ্বাদশ বর্ষীয়া বিধবা কন্যার জন্য নিরন্তু । একাদশীর ব্যবস্থা করিলেন-আমি নীরবে তাহার অনুমোদন করিলাম। বেলা তৃতীয় প্রহর পর্য্যন্ত সুরমা ক্ষুধার জালায় ছটফট করিতে লাগিল। সেদিন বাড়ীতে হাড়ি চড়ে নাই ; দিদির একাদশী ; কচিমেয়ে SW