পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“জা, কাম কাবুবিনে ?” পদ্মাপারে ছোট একখানি গ্রাম। গ্রামের নাম রাজনগর। সারা রাজনগর খুজিলেও এবং তাহার পূর্ব ইতিহাস তন্ন তন্ন করিয়া অনুসন্ধান করিলেও কোন রাজা বা রাজবংশের ইতিহাস সংগ্ৰহ করিতে পরিবেন না। রাজনগর গ্রামে আছে এক ঘর ছােট খাট৷ জমীদার, আর ব্রাহ্মণ, কায়স্থ, তিলি, মালী, ধোপা, নাপিত, মুসলমান প্রভৃতিতে প্ৰায় দেড়শত ঘর মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র গৃহস্থ । আমি যে সময়ের কথা বলিতেছি, তখন রাজনগরের ছোট জিমীদার অর্থে ছোট হইলেও নামে ও প্ৰতাপে কম ছিলেন না । বাৰ্ষিক দশ বার হাজার টাকার মুনাফার জমীদারির মালেকের নাম ছিল গজেন্দ্রনারায়ণ রায় ; আর এই গজেন্দ্ৰবাবুর প্রতাপে তখন বাঘে গরুতে না কি এক ঘাটে জল খাইত । জমীদার গজেন্দ্রনারায়ণ বাবুর প্রতাপ এত বৃদ্ধি হওয়ার প্রধান-কারণ ছমির সর্দার। ছমিরের মত খেলোয়াড়, ছমিরের মত, পাকা लार्मिয়াল, ছমিরের মত অসম-সাহসী বীর সে সময়ে ও-তল্লাটে ছিল না। ছমিরের বাপ এনাতুল্লা সর্দার, ঐ জমীদার বাড়ীতেই পাইকের কাজ করিয়া জীবন শেষ করে। পিতার মৃত্যুর পর ছমির পিতার পদ প্রাপ্ত হয় এবং অল্পদিনের মধ্যেই পদ্মাপারের লোকে বুঝিতে পারে যে, ছমির সর্দারের লাঠির সম্মুখে দাঁড়ায়, এত বড় সাধ্য কাহারও নাই। ছমির একাকী পঞ্চাশ জন বাছা বাছ খেলোয়াড়ের মহড়া লইতে পারিত। • ND