পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

' সর্দার ? বেশ, তোমার ইচ্ছে না হয়, তুমি যেও না। এত দিন ত তুমি সর্দারি করেছ, এই একটা কাজের সর্দারি না হয় আমাকেই করতে দাও।” ছমির বলিল, “বাবুজী, সর্দারি দিতি পারি, কিন্তু শানগরের কামে না। ও মৎলব ছাড়ান দ্যান।” গজেন্দ্ৰবাবু রাগিয়া ‘বলিলেন “কিছুতেই না। আমি ও হাট লুঠ করবই।” সহসা ছমির সর্দারের স্কন্ধে ভূত চাপিল। সে ক্ৰোধে निशाशबा श्वा বলিয়া বসিল, “ছমির সর্দারের হাতে এই লাঠি থাকৃতি কারও সাধ্যি নেই ও হাট লুঠ করে! আমি ও হাট লুঠ কত্তি দেব না-খোদার হুকুম।” । গজেন্দ্ৰবাবু গজ্জিয়া বলিলেন, “আমি ও হাট লুঠ করব-মা কালীর আদেশ।” গজেন্দ্র বাবু ক্রোধে অধীর হইয়া সে স্থান ত্যাগ করিয়া চলিয়া গেলেন । ছমির সর্দার মাথায় হাত দিয়া সেখানে বসিয়া পড়িল । তাহার শুধু মনে হইতে লাগিল, এ বুদ্ধি তাহাকে কে দিল! এত কালের মধ্যে কোন দিন ত সে এমন কথা বলে নাই। তবে আজ শানগর লুঠের প্রতিবাদী সে কেন হইল। সুলতানগঞ্জের বড় হািট, সে লুঠ করিতে পারে, আর শানগরের ছোট হাটটা লুঠ করিতে তার অনিচ্ছা ! এ কথা তার মুখে আসিল কেমন করিয়া ! কে তাহাকে এ কাৰ্য্যে বার বার নিষেধ করিতেছে? ছমির অনেকুক্ষণ ধরিয়া ভাবিল, এক কথাই পাঁচবাবু করিয়া ভাবিল। কিন্তু তাহার সকল ভাবনার মধ্য হইতে, কে যেন থাকিয়া থাকিয়া বলিয়া উঠিতে লাগিল এমন কৰ্ম্ম করিও না। এমন উপদেশ, এমন হুকুম তাহার মনের নিকট হইতে ত কোন দিন আসে নাই । অনেক ভাবিয়া সে যখন কোনই কিনারা পাইল না, তখন বিরক্ত হইয়া উঠিল; বলিল “ভালই হোক, আর মন্দই হোক, ও কামে আমি যাচ্ছিনে।” এই বলিয়া ছমির সর্দার বাহিরে চলিয়া গেল। WS