পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গজেন্দ্রবাবু অপরাহ্বকালে নিকটবঁত্ত স্থানসমূহ হইতে অনেক ছোট- ” খাটো সর্দার ডাকিয়া আনিলেন এবং তাহদের নিকট মনের ভাব প্ৰকাশ করিলেন । কিন্তু যখনই তাহারা শুনিল যে, ছমির সর্দার এ কাৰ্য্যে অগ্রসর হইবে না, বরঞ্চ বাধা প্ৰদান করিবে, তখন তাহারা একবাক্যে অস্বীকার করিল ; তাহারা বলিল, “ওস্তাদজি যখন এ কামে হাত দিতি নারাজ, তখন আমরা যাবো না ।” সকলেরই এক কথা । গজেন্দ্রবাবু বড়ই বিরক্ত হইয়া গেলেন। সর্দারদিগকে বিদায় করিয়া দিয়া তিনি একাকী বসিয়া ভাবিতে লাগিলেন। একবার তাহার মনে হইল ছমির সর্দারকে ডাকিয়া বুঝাইয়া পড়াইয় তাহার মত করিবেন, কিন্তু পরীক্ষণেই তাহার আত্মাভিমান জাগিয়া উঠিল। অবশেষে অন্য উপায় না দেখিয়া তিনি বাহিরে চলিয়া গেলেন। বাহিরে যাইয়া দেখেন তাহার ছোট মেয়ে খুকী ছমির সর্দারের কোলে বসিয়া গল্প করিতেছে। খুকী অনর্গল বকিয়া যাইতেছে, আর ছমির সর্দার শুকু হু” করিয়া যাইতেছে এবং দুই একটা কথার উত্তরও দিতেছে। গজেন্দ্ৰবাবু কাহাকেও কিছু না বলিয়া বাহিরের উঠানে বেড়াইতে व्यक्षेि८ळान् । এদিকে অনেক কথার পর খুকী রাগ করিয়া বলিল “জ্যা, তোমার সঙ্গে আড়ি।” খুকী ছমিরকে জ্যেঠা বলিতে পারিত না, জ্যা বলিত। ছমির বলিল, “আড়ি কিসির জন্যি মা !”, খুকী বলিল “তুমি ভাল ক’রে কথা ক’চ্ছ না যে।” ছমির বলিল “মা, মনডা ভাল নেই।” খুকী বলিল “ক্যান?” ছমির বলিল “একটা কাম করি কি না করি, তাই ভাবতিছি।” খুকী না বুঝিয়াই বলিয়া ফেলিল, “কাম করিস নে, জ্যা !” কথাটা গজেন্দ্রবাবুর কাণে গেল। তঁহার মনে হইল, কে যেন খুকীর মুখ দিয়া তাঁহাকে এই কার্ঘ্যে প্ৰবৃত্ত হইতে নিষেধ করিতেছে। 8 a