পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তিনি তখন ছমিরের সম্মুখে আসিয়া দাড়াইলেন। খুকী তাঁহাকে দেখিয়া বলিয়া উঠিল “বাবা, জ্যা কাম করবি নে।” কথাটা ছমির আর এক ভাবে গ্রহণ করিল ; সে তখন দাড়াইয়া বলিল “বাবুজি, দ্যই পুরুষ আপনার নেমক খাইচি, আর খাবো না, আমি আর কাম করবো না। মা আমায় বিদেয় দিছেন। খুকী, কাম আর করতিছি নে , তোর হুকুমই বহাল। আজ থিকে আমার কামে ইস্তাফা।” “ খুকী বলিল “জ্যা, তুই আর কাম করিস নে, তুই আমার সঙ্গে খেলা, করবি, কেমন ?” ছমির বলিল “আমার একেবারে ছুটী মা ! আমি আর এ দ্যাশেই থাকব না। তুই ত আমারে ছুটী ক’রে দিলি।” গজেন্দ্রবাবু বলিলেন, “ছমির ভাই, তোমার হ’ল কি ? তোমার মুখে এ সব কি কথা ? আমি ত কিছুই বুঝতে পারছি নে ৷” ছমির বলিল “আমিও বুঝতি পারতিছি নে। না, না, কাম আর করবােই না। কিন্তুক বাবুজি, আমার কাছে একটা সত্যি করুতি হ’ব। সত্যি কর যে, শানগরের হাট লুঠ করব না।” গজেন্দ্রবাবু বলিলেন “শানগরের হাটে তোমার কি আছে যে, তুমি ঐ হাটের দিক হয়ে এত কথা বলছি।” ছমির বলিল “কিছুই নেই-কিছুই নেই বাবুজি ! আমার এই পরাণডার মদি যেন কোড বলাতিছে, ও হাট লুঠ করলি রাজনগরের জমিদেৱী থাকিবি নে।” । গজেন্দ্ৰ বাবু আবার উত্তেজিত হইয়া উঠিলেন; তিনি বলিলেন “একবার মনে করেছিলাম, যে কাজে তোমার আপত্তি, দূর হোক তা আর ক’ৱাব না । কিন্তু তা আর হোলোই না । এখানকার পাজী বেটার “কাজ করতে চায় না। আমি ওপান্ন থেকে সর্দার লোকজন নিয়ে আসিব । 8