পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিয়াছেন, সেই সময়ে পশ্চাৎ হইতে কে তঁহার হাত চাপিয়া ধরিল ! তিনি ফিরিয়া চাহিয়া দেখেন একমাত্র কন্যা খুকীকে কোলে করিয়া তাহার সহধৰ্ম্মিণী দক্ষিণ হস্তে র্তাহার হাত চাপিয়া ধরিয়াছে। গজেন্দ্ৰবাবু তখন চীৎকার করিয়া বলিলেন, “পালাও সুরবালা, পালাও-মেয়েকে বাচাও— নিজেকে বঁাচাও । আজ ছমির ভাই নাই-সব আজ যাবে।” সুরবালা তাহার হাত ধরিয়া টানিতে টানিতে বলিলেন, “ওগো, তুমি কি পাগল হয়েছ ? বাইরে একশো, দেড়শো লোক, তুমি একেল কি করবে ? পালিয়ে এস ! প্ৰাণে বঁাচলে সব হবে।” গজেন্দ্ৰবাবু বলিলেন, “ত্ত হয় না। সুরবালা-তা হবে না। ছমির ভাই আমাকে পালাতে শেখায়নি। তুমি পালাও—আমি এই দোরে দাড়িয়ে একেলা একশো লোককে ঠেকাতে পারব।” সুরবালা বলিলেন, “আমিও তবে পালাব না, তুমি মরতে জান, আমি জানিনে!” এই বলিয়া তিনি স্বামীর হাত ছাড়িয়া দিয়া কন্যাকে "কোলে লইয়া তাহার পশ্চাতে দণ্ডায়মান হইলেন। ঝন ঝন করিয়া প্ৰকাণ্ড দ্বারের শিকল খুলিয়া পড়িয়া গেল-দ্বার উন্মুক্ত হইল-সকলে সবিস্ময়ে দেখিল এক হস্তে ঢাল ও অপর হস্তে লাঠি লইয়া জমীদার গজেন্দ্রবাবু দ্বারপথে দণ্ডায়মান রহিয়াছেন। ডাকাই তেরা হঠাৎ স্তম্ভিত হইয়া একটু হটয়া গেল, তাহার পরই ‘দীন দীন’ শব্দ করিয়া দ্বারের দিকে অগ্রসর হইল। • গজেন্দ্র বাবু দক্ষিণপদ সম্মুখে বাড়াইয়া দিয়া অপূৰ্ব্ব কৌশলে লাঠি চালাইতে লাগিলেন। ডাকাইতেত্ব দুল দুই তিন মিনিট চেষ্টা করিয়াও দ্বারপথে প্রবেশ করিতে পারিল না ; তাহারা জানিত গজেন্দ্ৰবাবু এমন দুঃসাহসিক কাৰ্য্যে প্ৰবৃত্ত হইবেন না । তিনি হয় তা যথাসৰ্ব্বস্ব দান করিয়া নিজের ও পরিবারের প্রাণরক্ষা করিাবেন। গজেন্দ্ৰবাবুকে আহত করা বা ৰমণীদিগকে অপমান করার অভি 88