পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এখন মনে হইতেছে জীবনের শেষপ্রান্তে দণ্ডায়মান হইয়া আর সে কথাগুলি মনে রাখিয়া যাই কেন ? এমন এক সময় ছিল, যখন দশজনের বিশ্বাস-অবিশ্বাস, আস্থা-অনাস্থার কথা মনে উঠিত। এখন এই খেয়াঘাটে দাড়াইয়া সে কথাৎ আর বড় একটা মনে আসে না । তাই আজ পাঠকগণের নিকট একটি অতীত কাহিনী বলিব। ইহার মধ্যে “অতিপ্ৰাকৃত” কিছু নাই ; তবুও কথাটা এতদিন বলি নাই। এমন অনেক কথা আমার মনে আছে । সে অনেক দিনের কথা । হিমালয়প্রদেশে তখন আমার এক বৎসর কাটিয়া গিয়াছে। আমি দেরাদুনে থাকি,তাম, অল্প বিস্তর। এটা ওটা করিতাম ! হঠাৎ এক এক দিন জঙ্গলে, পৰ্ব্বতে মাথা দিতাম, দুই তিন দিন আর ফিরিতাম না ; তাহার পর একদিন আসিয়া লোকালয়ে উপস্থিত হইতাম। আমার বন্ধু বান্ধবগণ আমার আদর্শনে ব্যস্ত হইতেন না; তঁহাদের বিশ্বাস ছিল, যদি মরিয়া না যাই তাহা হইলে তঁহাদের স্নেহের বন্ধন ছিন্ন করিয়া আমি একেবারে উধাও হইয়া যাইতে পারিব না। এই প্রকার অবস্থায় একদিন অতি প্ৰত্যুষে আমি কাহাকেও কিছু না বলিয়া, কোনও সংবাদ না দিয়া দেরাদুন ত্যাগ করি। সহর হইতে কিছু দূৰত্নবৰ্ত্তী টপকেশ্বর শিবের স্থান আমার বড়ই ভাল লাগিতা ; আমি যখন তখন সেখানে যাইতাম। অনেক সময়ে সেই শিবের পার্শ্বে বসিয়া সমস্ত রাত্ৰিও কাটাইয়া দিয়াছি। এখন যে বারের কথা বলিতেছি, সেবারেও বাসা হইতে বাহির হইয়া বরাবর টপকেশ্বরে গিয়াছিলাম। ১. কিন্তু সে দিন কি একটা উপলক্ষে অনেক গুর্থ নরনারী, বালকবালিকা প্ৰাতঃকালেই টপকেশ্বরে সমবেত হইয়াছিল । অন্য দিন হইলে হয় ত আমি এ জনতায় অসুবিধা বোধ করিতাম না, সেইখানেই থাকিয়া যাইতাম। কিন্তু সেদিন কি জানি ফেন, অথবা আমার সৌভাগ্যক্রমে, 8ty