পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জনতা ভাল লাগিল না। আমি তখন টপকেশ্বরের বাঁধান উচ্চ পথ ছাড়িয়া নিঝরতীরে নামিয়া গেলাম। নিঝরে তখন অল্প জলই ছিল ; তবে স্রোতঃ কিঞ্চিৎ প্রবল ছিল। আমি নিঝরের পার্শ্ব দিয়া উত্তরাভিমুখে কিছুদূর অগ্রসর হইয়া একটি স্থানে জলধারা সঙ্কীর্ণ দেখিয়া অতি সাবধানে নিঝর পার হইয়া গেলাম। দুই দিকে অত্যুচ্চ পাহাড়, তাহারই মধ্য দিয়া নিঝরই বলুন-আর নদীই বলুন, নিম্নাভিমুখে, চলিয়া যাইতেছিল। অনেকের মুখে শুনিয়াছিলাম। এই নিঝরতীরে পর্বতগাত্রে অনেকগুলি সুন্দর গহবর আছে। শুনিতাম মধ্যে মধ্যে দুই চারিজন সাধু সন্ন্যাসী সেই স্থানে আসিয়া থাকেন। টপকেশ্বর শিবের সম্মুখস্থ অপর পারের পর্বতগাত্রে এই প্ৰকার দুই একটি গুহা দেখিয়াছিলাম ; কিন্তু সে গুলিতে সাধু সন্ন্যাসীর আবির্ভাব দেখি নাই। সে দিন যেখানে উপস্থিত হইলাম, সেখানে তিন চারিটি অতি সুন্দর গুহা । ছিল। আমার তখন ইচ্ছা হইল ইহারই একটি গুহায় সমস্ত দিন কাটাইয়া সন্ধ্যার সময় বাসায় ফিরিয়া যাইব । t এই স্থানে আমার বেশভূষার একটু পরিচয় দেওয়া প্রয়ােজন মনে করিতেছি। তখন বর্ষাকাল, তাই আমার পরিধানে একখানি ধুতি, গায়ে পাঞ্জাবী, মাথায় একটি প্ৰকাণ্ড পাগড়ী, হস্তে দীর্ঘ যষ্টি ; পদুকাও ছিল, কিন্তু ঝরণা পার হইবার সময় তাহা অপর পারে ফেলিয়া আসিয়াছিলাম। সে সময়ে আমাকে দেখিলে কেহই বাঙ্গালী বলিয়া চিনিতে পারিতেন না । এই অবস্থায় পৰ্ব্বতগাত্রে দুই তিনটি গুহা দেখিয়া আমি সেই গুহাগুলির উদ্দেশে উপরের দিকে উঠিতে লাগিলাম। পৰ্ব্বতের পাশ্ব তেমন ঢালু ছিল না, সুতরাং গুহাগুলির নিকটবৰ্ত্তী হইতে আমাকে বিশেষ আয়াস স্বীকার করিতে হইল না। আমি প্ৰথমে যে গুহার সম্মুখে | S8)