পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার বিস্ময়ের সীমা রহিল না। এই হিমালয়প্রদেশে অনেক । সন্ন্যাসী-সন্ন্যাসিনী, ভৈরব-ভৈরবী দেখিয়াছি; কিন্তু এ মূৰ্ত্তি ত কখনও দেখি নাই, কখনও কোন সন্ন্যাসিনীর সহিত বাক্যালাপও করি নাই। তবে ইনি আমাকে, কেমন করিয়া চিনিলেন ? আমি দেরাদুনে থাকি, কখন কোথায় যাই তাহার স্থিরতা নাই, কখন কি করিব তাহা আমিই জানি না। সে দিন যে ওখানে যাইব, সে দিন যে বাসার বাহির হইব— একথা পূৰ্ব্ব রাত্ৰিতেও আমি চিন্তা করি নাই। প্ৰত্যুষে নিদ্রাভঙ্গ হইলে অকস্মাৎ আমার মাথায় খেয়াল চাপিল, আমি বাহির হইয়া পড়িলাম। তখনও জানি না কোথায় যাইব ; অথচ ইনি এই নির্জন গিরিগুহায় আমারই প্ৰতীক্ষায় বসিয়া আছেন বলিতেছেন। বিস্ময়ের বিষয় 'নহে কি ? আমাকে চিন্তাকুল দেখিয়া দেবী বলিলেন, “ও সব কথা থাক, আপনি আজ এখানে থাকিবেন ?” -আমি বলিলাম, “না, আমি এই দিকে বেড়াইতে আসিয়াছিলাম, এখনই চলিয়া যাইব ; আপনার কাৰ্য্যের ব্যাঘাত উপস্থিত করিব না।” তিনি হাসিয়া বলিলেন, “আপনার সহিত সাক্ষাৎ করা ব্যতীত এখানে ত আমারু অন্য কাজ নাই। আমি কালই চলিয়া যাইতাম। বলিয়াছি ত যে আপনার সহিত দেখা হইবে বলিয়াই এখানে অপেক্ষা করিতেছি।” । আমি তখন অতি ধীরভাবে বলিলাম, “ক্ষমা করিবেন, আপনার কথা । আমি আদৌ বুঝিতে পারিতেছি না।” " .ام তিনিও ধীরভাবে বলিলেন, “বুঝিবার বিশেষ প্রয়োজনও দেখিতেছি না। সেই সময় আকাশে মেঘ করিয়া আসিল। তিনি এই মেঘাড়ম্বর দেখিয়া বলিলেন, “এখানে থাকা আৰু নিরাপদ নহে, একটু পরেই à(8