পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিয়া বোধ হয় ঘরে ফিরিয়া যাইতেছিলেন। আপনার ছাতা ছিল না, বৃষ্টিতে কাপড় ভিজিয়া গিয়াছিল, বইগুলিও ভিজিয়া গিয়াছিল। আপনি যখন আমার বাড়ীর সম্মুখে উপস্থিত হইলেন, তখন বৃষ্টি আরও জোরে পড়িতে লাগিল। আমার ঝি কোন প্ৰয়োজনে বাহিরে গিয়াছিল, বুড়া মানুষ এই জলবৃষ্টিতে দুয়ারে আসিয়া দাড়াইয়া না থাকে-এই মনে করিয়া আমি দুয়ার খুলিয়া কবাটের পার্শ্বে দাড়াইয়া ছিলাম। সেই সময়ে আপনি ভিজিতে ভিজিতে আমার দ্বারে আসিয়া আশ্রয় গ্ৰহণ করেন। আমি আপনার সেই সময়ের অবস্থা দেখিয়া আপনাকে বলি, “আপনি বড়ই ভিজিয়া গিয়াছেন; উপরে চলুন, কাপড় ছাড়িয়া, বিশ্রাম করিবেন। জল ছাড়িলে বাড়িতে যাইবেন।” - আমার এই কথা শুনিয়া আপনি আমার দিকে চাহিলেন। আপনার সে দৃষ্টি এখনও আমার মনে আছে। তাহার পর হঠাৎ—“না।” এই কথাটি মাত্ৰ বলিয়া সেই প্ৰবল বৃষ্টির মধ্যে বাহির হইয়া গেলেন এবং দেখিতে দেখিতে আমাদের গলির মোড় পার হইয়া গেলেন। “ভাই, আর আপনি বলিতে পারিতেছি না। তোমার সেই “না।” শব্দটা সেই মুহুৰ্ত্তে আমার বুকে আসিয়া বাজিল। কত পাপ করিয়াছি, কত ভালমন্দ কথা শুনিয়াছি, কিন্তু এমন “ন’ শব্দ কোন দিন আমার কাণে আসে নাই, এমন করিয়া আমার বুকের মধ্যে আঘাত করে নাই। আমি সেইখানে দাড়াইয়া রহিলাম। আমার বোধ হইল প্ৰত্যেক বৃষ্টিবিন্দু বলিতেছে—“না” –আমার মনে হইল আকাশের মেঘ গৰ্জন করিয়া বলিতেছে-‘না, না? ;-আমার মনে হইল সমস্ত বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ড এক স্বরে জলদগম্ভীর ধ্বনি করিতেছে-“ন’ । “আমি তখন অধীর হইয়া পড়িলাম। কি কঠোর শব্দ, কি ভয়ানক শব্দ, কি হৃদয়ভেদী বাণী-ঐ “না” । । আমার জ্ঞান অপহৃত হইবার dat 8