পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মত হইল। আমি জানি না কেমন করিয়া উপরে’ উঠিয়া গেলাম, কেমন করিয়া মাটিতে পড়িলাম । যখন জ্ঞানসঞ্চার হইল, তখন ভাই, তােমার সেই তীক্ষ দৃষ্টি আমার চক্ষুর সম্মুখে জাজ্বল্যমান হইল, তখনও আমি শুনিতে পাইলাম, তুমি বলিতেছ— ‘না” । “সেই রাত্ৰিতেই আমি জ্বরে পড়িলাম। শুনিয়াছি বিকারের ঘোরে - আমি না কি ক্রমাগত চীৎকার করিয়াছি না, না”। তাহার পর, আমি চিকিৎসার গুণে আরোগ্য লাভ করিলাম। কিন্তু সে আমি আমুর থাকিলাম না ; কে যেন আমার মধ্য হইতে আমার পূর্বের আমিকে একবারে সরাইয়া দিয়াছিল। “তাতার পর কি হইল শুনিবে ভাই ? আমি একদিন রাত্ৰিযােণুে সমস্ত ফেলিয়া পথে বাহির হইলাম। কাহারও আশ্রয় গ্ৰহণ করি নাই, কাহারও উপদেশ লই নাই, শুধু জপমন্ত্র হইয়াছিল—ঐ “ন’ শব্দ। আমি কত স্থান ভ্ৰমণ করিয়াছি, কত দেশে গিয়াছি, কত সাধু কত মহাজন আমাকে আশীৰ্ব্বাদ করিয়াছেন, কিন্তু কাহারও নিকট মন্ত্র গ্ৰহণ করি।-- নাই, আমি একই মন্ত্র পাইয়াছিলাম-সেই “ন’ । “তাহার পর কেমন করিয়া কি হইল আমি জানি না, আমি বুঝি না, আমি বলিতে পারিব না। আমি তখন মনে মনে তোমুর অনুসন্ধান করিলাম, মনে মনেই দেশ খুজিয়া দেখিলাম । তোমাকে এই দেরাদুন সহরে দেখিতে পাইলাম-তাই আমি এখানে আসিয়াছিলাম। “তাহার পর কেমন করিয়া দেখিলাম তাহা আমি জানি না।--তবে আমি জানিতে পারিলাম, তুমি আজ এখানে আসিবে-তােমাকে আজু আমায় দর্শন দিবার জন্য এখানে আসিতেই হইবে। তাই আজ তোমার জন্য অপেক্ষা করিতেছিলাম ! তোমায় দেখিলাম। তোমার সে ভীষ্ম দৃষ্টি নাই ত ভাই! তোমার মুখে সে “ন’ শব্দ নাই ত ভাই! বেশ, বেশ !