পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিল। তাহার পর অতি স্নেহপূর্ণস্বরে বলিল “কি হয়েছে, আমাকে খুলে বলত। কেউ মেরেছে? কেউ কিছু বলেছে ?” নয়ন তখন আর চুপ করিয়া থাকিতে পারিল না ; সে কঁাদিতে কঁদিতে সমস্ত কথা পরাণকে বলিল। বাপমায়ের মৃত্যুর পর হইতে তাহার উপর কি অত্যাচার হইয়া আসিতেছে, তাহা সব বলিল। তাহার পর সেই দিনের ঘটনা, সেই পাথরবাটী ভাঙ্গিবার কথা,-সেই গালাগালির কথা-সেই প্ৰচণ্ড চড়ের কথা,-সেই লাথির কথা-সেই বেলা দ্বিপ্রহরে বাড়ী হইতে তাড়াইয়া দিবার কথা-সমস্ত কথা নয়ান পরাণকে বলিল । তাহার পর বলিল “ভাইজি, আজ তামাম দিন আমার প্যাটে একটা দানাও পড়ে নেই-একরাত্তি জলও না ।” পরাণ এই কথা শুনিয়া রাগে। কঁাপিতে লাগিল ; তাহার পর সেই সোনার কনিষ্ঠ, তাহার পিতামাতার সেই আদরের নিধি-যখন বলিল “ভাইজি, আজ তামাম দিন আমার প্যাটে একটা দানাও পড়ে নেই -একরাত্তি জলও না ।” তখন পরাণ আর স্থির থাকিতে পারিল না। সে চীৎকার করিয়া উঠিল “কি, এত বড় কথা ! দেখি গে। সে হারামজাদিকে । এত বড় গোস্তাকি তার ” এই বলিয়া পরাণ পাগলের মত বাড়ীর দিকে দৌড়িল। নয়ান তাহার ভাইজির সেই ভীষণ মূৰ্ত্তি দেখিয়া চীৎকার করিত্বে করিতে তাহার পিছু পিছু ছুটিল, আর বলিতে লাগিল, “ভাইজি, দাড়াও, ভাইজি! ওরে ভাইজি রে!” । - পরাণ বাড়ীর মধ্যে প্ৰবেশ করিয়াই, গর্জন করিয়া বলিল “দেখি, কোথায় সেই হারামজাদি!” এই বলিয়া সে রান্নাঘরের দিকে গেল - তাহার হাতে তখনও সেই তীক্ষুধার দাখানি ছিল। পরাণের চীৎকার শুনিয়া এবং তাঁহাকে ছুটিয়া আসিতে দেখিয়া তাহার 1ጋ”