পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্ত্রী ঘর হইতে বাহির হইয়া পলায়নের চেষ্টা দেখিতেছিল ; কিন্তু সে পলায়নের অবকাশ পাইল না। সে যখন দ্বারের নিকট আসিয়াছে, তখন দেখিতে পাইল উন্মত্তের মত পরাণ তাহার সম্মুখে আসিয়া পড়িয়াছে। তাহাকে দেখিয়াই পরাণ - চীৎকার করিয়া বলিল “তবে রে হারামজাদি ” এই বলিয়াই সে বাম হস্তে তাহার স্ত্রীর কাপড়খানি চাপিয়া ধরিল, আর দক্ষিণ হস্তস্থিত দাখানি দ্বারা সজোরে তাহার গলায় আঘাত করিল। এক আঘাতেই হতভাগিনীর ছিন্নমুণ্ড ধরাতলে পড়িয়া গেল, রক্তের ফোয়ারা ছুটিল, পরাণ সেই রক্তে স্নাত হইল। তখনও পরাণের রাগ যায় নাই, ক্রুদ্ধ সিংহের মত তখনও সে গর্জন করিতে লাগিল । নয়ান বাড়ীর মধ্যে আসিয়া দেখে পরাণের স্ত্রীর মস্তক একস্থানে ও তাহার দেহ আর একস্থানে পড়িয়া রহিয়াছে, রক্তে ঘর ভাসিয়া গিয়াছে, আর তাহার দাদা সেই দা হাতে করিয়া তখনও গৰ্জন করিতেছে। নয়ান এই দৃশ্য দেখিয়া “ও আল্লা, ওরে ভাইজি!” বলিয়া মুচ্ছিত হইয়া পড়িল । গোলমাল শুনিয়া প্রতিবেশীরা আসিয়া পড়িল। এই ভয়ানক দৃশ্য দেখিয়া সকলেই ভয়ে অস্থির হইয়া উঠিল। পরাণ তখনও দা হাতে করিয়া সেই স্থানেই কাঠের পুতুলের মত দাড়াইয়া আছে। তাহার পর গ্রামের চৌকীদার, পঞ্চায়েত ও ভদ্রাভদ্র অনেক লোক সেখানে উপস্থিত হইল। পঞ্চায়েত ও কয়েকজন লোক পরামর্শ করিয়া তখনই চৌকিদারকে থানায় পাঠাইয়া দিল। এত লোকের সমাগম দেখিয়া পরাণ হাতের দাখানি ফেলিয়া দিয়া সেই স্থানে বসিয়া পড়িল। প্রতিবেশীরা নয়নের চৈতন্য সম্পাদন করিল। তখন এক বৃদ্ধ পরাণকে সকল কথা জিজ্ঞাসা করিতে গেল,-পরাণ কোন উত্তরই দিল না, চুপ 7 ܘ