পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করিয়া বসিয়া রহিল। নয়ান শুধুমধ্যে মধ্যে “ও আল্লা, ওরে ভাইজি ।” বলিয়া চীৎকার করিতে লাগিল ; সকলে নানাপ্রকারে তাহাকে সান্থনা দিবার চেষ্টা করিতে লাগিল । রাত্ৰি প্ৰায় নয়টার সময় থানার দারোগ, কনেষ্টবল প্ৰভৃতি আসিয়া উপস্থিত হইল। যথারীতি তদন্তের ব্যবস্থা হইতে লাগিল ; কিন্তু তদন্ত আর বেশীদূর অগ্রসর হইতে পারিল না । দারোগ যখন নয়ানকে ঘটনার কথা জিজ্ঞাসা করিলেন, তখন পরাণ আপনা হইতেই বলিয়া উঠিল “বাবুজি, ওকে আর কি জিগেস কচ্ছেন। এ খুন। আমিই করেছি। আমাকে বেধে নিয়ে যান।” দারোগ বলিলেন “কোন তুমি খুন করলে ?” পরাণ একটু চুপ * করিয়া থাকিয়া বলিল “সে কথা আর একশবার ব’লে কি হবে ; একেবারে জেলার হাকিমের কাছেই সব বলব।” এই বলিয়া পরাণ যে চুপ করিল, তাহার পর আর কেহ তাহাকে কথা বলাইতে পারিল না । দারোগ মহাশয় নয়ানের নিকট হইতে সকল কথা শুনিয়া লাস চালান দিলেন এবং পরাণের হাতে হাতকড়ি লাগাইয়া তাহাকে থানায় লইয়া গেলেন । নিয়ান উচ্চৈঃস্বরে কঁাদিতে লাগিল । ডিপুটী হাকিম যথারীতি সাক্ষী সাবুদ গ্ৰহণ করিয়া পরাণকে সেসন-সোপর্দ করিলেন। পরাণ সেই যে চুপ করিয়াছিল, তাহার পর এ পর্য্যন্ত একটী কথাও বলে নাই । নিম আদালতে গরিব পরাণের পক্ষ-সমর্থন করিবার জন্য কোনও উকিল - মোক্তার উপস্থিত হন নাই । সেসন আদালতে যখন মোকদম উঠিল, তখন একজন জুনিয়ার উকিল পরাণের পক্ষ-সমর্থন করিবার জন্য ইচ্ছা প্ৰকাশ করিলেন। তিনি যখন পরাণকে দুই একটী কথা জিজ্ঞাসা করিতে গেলেন, তখন У о