পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিতিই হয়। ধৰ্ম্মাবতার, কোম্পানীর আয়েনে খুনির বদলে খুন নিতি হয়। তাই হোক। তাই হোক।” এই বলিয়া পরাণ চারিদিকে চাহিয়া যেন কাহার অনুসন্ধান করিতে লাগিল। জজসাহেবের মন গলিয়া গিয়াছিল; তিনি অনুচ্চ স্বরে পরাণকে বলিলেন “তুমি কি চাও পরাণ মণ্ডল ?” পরাণ বলিল “হুজুর, একবার নয়ানের মুখখানি জন্মের মত দেখতি চাই হুজুর, একবার তারে বুকির মন্দি জড়ায়ে ধরতি চাই।” জজ সাহেব তখনই নয়ানকে সেখানে আনিবার জন্য হুকুম দিলেন। নয়ান আসিয়া যখন কাঠগড়ার মধ্যে প্রবেশ করিল, তখন পরাণ তাহাকে বুকের মধ্যে জড়াইয়া ধরিল ; কিছুক্ষণ কোন কথা বলিতে পারিল না। তাহার পর জজ সাহেবের দিকে চাহিয়া পরাণ বলিল “হুজুর, আমার এই ভাইডারে কার হাতে দিয়ে যাব ? আমি এরে কোম্পানী বাহাদুরের হাতে দিয়ে গ্যালাম। ভাই নয়ান, তোরে আজ আমি কোম্পানী-সায়েবের হাতে দিয়ে গ্যালাম ভাইরে-” পরাণ আর কথা বলিতে পারিল না, চক্ষের জলে তাহার বুক ভাসিয়া যাইতে লাগিল। ধৰ্ম্মাবতার জজ বাহাদুরও এই দৃশ্য দেখিয়া রুমালে চক্ষু মুছিলেন। তাহার পর জজ সাহেব বলিলেন “এ মামলার আর সাক্ষীর প্রয়োজন নাই। আসামী কবুল করিয়াছে।” জজসাহেব জুৱীদিগের দিকে চাহিলেন ; জুরীগণ একবাক্যে বলিলেন “আসামী অপরাধ করিয়াছে বটে, কিন্তু তাহার উপর লঘু দণ্ড প্রদানের জন্য আমরা অনুরোধ করিতেছি।” জজ সাহেব তখন বলিলেন “আমি আসামী পরাণ মণ্ডলকে এক বৎসরের মেয়াদের হুকুম দিলাম।” । জজ সাহেবের রায় শুনিয়া সকলে অবাক হইয়া গেল। সকলে \