পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পব সেই জন্য তঁহাকে বিষয়কৰ্ম্ম লইয়া বিশেষ বিব্রত হইতে হয় নাই। তাহার পর তিনিই পাটের ব্যবসায় আরম্ভ করেন এবং ঈশ্বরের কৃপায় তাহাতে লাভবানীও হইতে থাকেন। পিতা লেখাপাড়াব আদর জানিতেন, তাই তিনি আমাকে লেখাপড়া শিখাইবার জন্য বিশেষ চেষ্টা করিয়াছিলেন। আমি সামান্য কাজ চালাইবার মত লেখাপড়া শিখিয়া মা সরস্বতীর নিকট হইতে বিদায় গ্ৰহণ কবি, ইহা তাহার ইচ্ছা ছিল না। তঁহার আশীৰ্বাদে আমাবও বিলাসের দিকে মন ছিল না, লেখাপড়া শিখিবাব জন্য আমারও আগ্রহ ছিল ; অন্ততঃ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাধিলাভেব জন্য আমাব যত্ন চেষ্টার ক্রটী ছিল না । আমি আমাদের গ্রামের বিদ্যালয় হইতে প্ৰবেশিক পরী ক্ষায় প্ৰথম বিভাগে উত্তীর্ণ হইয়া মাসিক দশটাকা বৃত্তি লাভ করিয়াছিলাম । প্ৰবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীণ হইবাব পর আমাকে পড়িবার জন্য কলিকাতায় যাইতে হইবে, এই ভাবনায় আমাকে বিব্রত করিয়া তুলিয়াছিল । আমার বয়স তখন ষোল বৎসব ! পিতামাতা আত্মীয় স্বজনকে ছাড়িয়া বিদেশে বাস করিতে হইবে, ইহা আমার চিন্তাব কাবণ নহে । যদিও কোন দিন পিতামাতাকে ছাড়িয়া বিদেশে বাস করি নাই, কিন্তু লেখাপড়া শিখিবার জন্য যে আমাকে বিদেশে যাইতে হইবে, আমার জন্য যে সিরাজগঞ্জের পাটের আড়তে কলেজের প্রতিষ্ঠা হইবে না, তাঙ্ক কি আর আমি ষোল বৎসর বয়সেও বুঝিতে পারি নাই ? সে কথা নহে। gচুকুলে রকমের ; অর্থাৎ উপবীত গ্রহণের পর হইতেই আমি উপূবীক্টর মর্য্যাদা । জানি কেন বদ্ধপরিকর কুইছিলাম। আমি যথারীতি সন্ধ্যা গায়ন্ত্রী করিতাম, আমি যথারীতি একাদশী ক্ষরিতাম, আমি জুতা পায়ে জল