পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰবেশিকা পরীক্ষার পর কেন আমার চিন্তা হইয়াছিল, তাহা অনেকেই বুঝিতে পারিলেন। কলিকাতায় পড়িতে গেলে আর আর ছেলেদের সঙ্গে মেসে অথবা হিন্দু হষ্টেলে থাকিতে হইবে, তাহদের সঙ্গে আহার ব্যবহার উঠাবসা করিতে হইবে। তাহা ত আমার দ্বা{ কিছুতেই হইবে না। আমি শুনিয়াছি, কলিকাতার স্কুল কলেজের ছেলেরা যে সকল মেসে বা হষ্টেলে থাকে, সেখানে তাহারা জাতীয় আচার-ব্যবহার মানিয়া চলে না। জিজ্ঞাসা করিয়া জানিয়াছি, মেসে কি হষ্টেলে গোড়ামি রক্ষা করিয়া চলা যায় না ; তবে অখাদ্য না খাইলেই হইল। ইচ্ছা হয় সন্ধ্যা গায়ত্রী কর, কিন্তু আসন পাতিয়া আয়োজন করিয়া শুদ্ধশান্ত হইয়া ব্ৰাহ্মণোচিত ক্রিয়াকলাপের অনুষ্ঠানং সে সকল স্থানে একেবারেই অসম্ভব! আরও ! এক কথা শুনিয়াছি যে, কলেজের এত পড়ার চাপ পড়িয়া থাকে যে, ঐ সকল বাজে কাজে সময় নষ্ট করিবার উপায় থাকে না। এ কথাটা আমি মানি না। ইচ্ছা থাকিলে সময়ের অভাব হয় না এবং সন্ধ্যা গায়ত্রীতে যে সময় অতিবাহিত হয়, তাহা একটু পরিশ্রম করিয়া পোষাইয়া লওয়া যায়। কিন্তু আমার প্রধান প্রতিবন্ধক আচার-অনুষ্ঠানের অসুবিধা। তাই প্ৰবেশিকা পরীক্ষার পর আমি বিশেষ চিন্তায় পড়িয়াছিলাম। ’ আমি সেই সময় একদিন বাবাকে বলিলাম যে, কলিকাতায় গিয়া আমি কোন মেসে বা হােষ্টলে থাকিতে পারিব না। বাবাও সে কথা ভাবিয়াছিলেন ; কিন্তু তিনি কি করিবেন, তাহা তখনও স্থির করিয়া উঠিতে পারেন নাই। তিনি আমার কথা শুনিয়া বলিলেন, “তাহা S DB D DBBD DB DD DS DBBD DBBDSSiBD DDD পৃথক বাসা করিয়া থাকিতে চাই।” বাবা বলিলেন, “একেলা একটা বাসা করিয়া তুমি ছেলেমানুষ কেমন করিয়া থাকিবে ? অবশ্য খরচের কথা ভাবিতেছি না ; মাসে না হয় তোমার লেখাপড়ার জন্য একশত