পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টাকাই খরচ হইবে। তাহা আমি দিতে পারিব ; কিন্তু কলিকাতা সহরে অভিভাবকহীন অবস্থায় তোমার মত ছেলেমানুষের একেলা থাকাটা অসম্ভব। এমন কে আঁছে যে, যাহার হাতে তোমাকে সমর্পণ করিয়া আমি বলিলাম, “কেন, শািন্তদাদা।” বাবা বলিলেন, “শান্তিকাকা কি-দেশ ছেড়ে তোমাকে নিয়ে কলকাতায় থাকতে স্বীকার হবে ?” আমি বলিলাম, “নিশ্চয়ই হবে। তাকে আমি বলেছিলাম ; সে তাতে খুব সম্মত। বুড়ো মানুষ, গঙ্গাতীরে থাকবে, কাজকৰ্ম্ম বেশী নেই। তারপর সে আমাকে যে ভালবাসে, তার কাছে আমি খুব থাকতে পারব।” বাবা হাসিয়া বলিলেন, “তুমি যদি তা ঠিক ক’রে থাক, আর শান্তিকাক যদি যেতে চায়, তবে তা ভালই হয় । তা হলে আমি সত্যসত্যই তার হাতে তোমাকে দিয়ে নিশ্চিন্ত হ’তে পারি । বেশ, তাই হবে। আমি তোমাদের সঙ্গে কলকাতায় গিয়ে একটা ছোট বাড়ী ভাড়া করে দিয়ে আসব! একটা রাধুনী বামুন আর একটা চাকরীও ঠিক ক’রে দিতে হবে ; শান্তিকাকা ত সব কাজ করতে পারবে না। বুড়া মানুষ কিছুদিন বিশ্রামই করুক। আমি তাই ঠিক করছি ?” এইস্থানে শাস্তিদাদার একটু পরিচয় দিই। সে আমার আত্মীয় বা কুটুম্ব নয় ; কিন্তু সে আমাদের আত্মীয় কুটুম্ব অপেক্ষাও আপনার জন ; সে আমার পিতামহের গৃহদেবতা,-সে* আমাদের শান্তিদাদা। সে । বাবাকে মানুষ করিয়াছে, আমাকে মানুষ করিয়াছে, আমার মাকে আনিয়া নয়বৎসর বয়সের সময় এই বাড়ীতে গৃহিণীপনা শিখাইয়াছে—সে আমার বাবার শান্তিকাকা-সে। আমার শান্তিদাদা ! তার নাম শাভিরাম ঘোষ। আমার পিতামহ তাহাকে রংপুর হইতে R O