পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আনিয়াছিলেন। শান্তিদাদার বিবাহ না কি হইয়াছিল। আমাদের এখানে থাকিতেই তাহার বিবাহ হয়। আট নয়। বৎসর পরে তাহার স্ত্রী-বিয়োগ হয়, সন্তানাদি কিছুই হয় নাই। তাহার পর সে আর বিবাহ করে নাই। এ সকল আমার জন্মের পূর্বের কথা। শান্তিদাদা আমাদেরই একজন। আমি ছেলেবেলায় তাপহার সঙ্গে বসিয়া না কি ভাত খাইয়াছি। কায়স্থ হইলে কি হয়- সে যে আমার পিতামহের মত। শান্তিদাদার গুণের কথা কি বলিব ! বলিয়াছি ত সে আমাদের গৃহদেবতা । তাহার অনুমতি না লইয়া মা কোন কাজ করিতেন না। কোন মঙ্গল অনুষ্ঠান করিতে হইলে তাহার আশীৰ্ব্বাদ আমরা সৰ্ব্বপ্ৰথমে গ্ৰহণ করিতাম ! কাজকৰ্ম্মের কথা থাকুক, শান্তিদাদার আর একটা মহৎ গুণ ছিল, সে বড় সুন্দর গান করিতে পারিত। তাহার গান শুনিয়া সকলে মুগ্ধ হইত। সে যখন নির্জনে বসিয়া প্ৰাণ খুলিয়া গাইত “মন তুমি কৃষিকাজ জান না। এমন মানব জমিন রইল পতিত আবাদ করলে ফলত সোণা।” তখন যে সেই গান শুনিত, সেই তন্ময় হইয়া যাইত। সে যখন । १ोंब्रिड “নন্দি । গিরিনন্দিনী-চিত্রনয়নের-নয়নতারা । তারাহারা হয়ে আমি আজ, হয়েছি রে । তারাহারা ।” । তখন পাষাণের চক্ষেও জল আসিত । আমি তা তখন আমার চক্ষের সম্মুখে সেই সতী-শোকাতুরা পাগল ভোলানাথকে দেখিতে পাইতাম ; তাহার সেই হৃদয়ভেদী আৰ্ত্তনাদ, সেই মৰ্ম্মস্পৰ্শী করুণবিলাপ। আমার RS