পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আনি স্থির নিশ্চলভাবে দাড়াইয়া শান্তিদাদার এই সুন্দর আবৃত্তি শুনিতে লাগিলাম। অনেকের মুখে আবৃত্তি শুনিয়াছি, অনেক পণ্ডিতের মুখে গীতার এই শ্লোক শুনিয়াছি; কিন্তু এমন সুন্দর, এমন প্ৰাণস্পৰ্শী আবৃত্তি আমি কখন শুনি নাই। আর তাহা আবৃত্তি করিতেছে কে ? যে সংস্কৃত জানে না, যে ঐ মহান বাণীর অর্থগ্রহ করিতে পারে না,-সেই আমার শাস্তিদাদা ঐ অপার্থিব শ্লোকগুলির আবৃত্তি করিতেছে। ইচ্ছা হইল ব্ৰাহ্মণসন্তান আমি, ঐ শান্তিদাদার চরণগুলি গ্ৰহণ করিয়া জীবন পবিত্ৰ করি। চাহিয়া দেখিলাম, শান্তিদাদার গণ্ড বাহিয়া অশ্রু পড়িতেছে। ধন্য শান্তিদাদা ! ধন্য তাহার সাধনা ! আর একদিনের কথা বলি । রাত্রি তখন বারটা বাজিয়া গিয়াছে। আমি শয়ন করিয়াছি। এমন , সময়ে শান্তিদাদার সুমধুর কণ্ঠস্বরে আমার নিদ্রা ভাঙ্গিয়া গেল । শান্তিদাদা। তখন বারান্দায় বসিয়া গান করিতেছে। আমি একমনে শুনিতে লাগিলাম, শান্তিদাদা গায়িতেছে,- অরূপের রূপের ফাদে, °'हत्यु কঁাদে প্ৰাণ যে আমার দিবানিশি । কঁদলে নির্জনে ব’সে, আপনি এসে, দেখা দেয়। সে রূপরাশি ; সে যে কি অতুল্যরূপ, নয় অনুরূপ শত শত সূৰ্য শশী! যদি রে চাই আকাশে, মেঘের পাশে সে রূপ আবার বেড়ায় ভাসি ; আবার রে তারায় তারায়, ঘুরে বেড়ায়, কলক লাগে হৃদে আসি । & 8