পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“আরে ভাই, তা কি হয় ! পূজার সময় বাড়ী যাওয়া বন্ধ রাখিলে কি চলে ? তুীি না গেলে যে পূজাই হবে না। চল যাই, না হয়। পূজার কয়দিন পরেই- অাবশিষ্মস্পচিলিয়া আসিব ।” শান্তি দাদার আদেশ উপেক্ষা করিবার শক্তি আমার ছিল না । বাড়ীতে পত্ৰ লিখিলাম। বাবা যথাসময়ে নগরবাড়ী ষ্টীমার ষ্টেসনে নৌকা পাঠাইয়া দিবার বন্দোবস্তু করিলেন। আমাদের বাড়ী পাবনা জেলায়, কিন্তু যাইতে হয় এক রকম পৃথিবী ঘুরিয়া। প্রথমে রেলে গোয়ালন্দ যাইতে হয়, সেখানে হইতে ষ্টীমারে চড়িয়া নগরবাড়ী যাইতে হয় ; সেখান হইতে নৌকাযোগে দুই প্ৰহরের পথ গেলে, তবে বাড়ী পৌছিতে পারা যায়। যে দিন আমরা কলিকাতা হইতে যাত্ৰা করিলাম, সে দিন কলিকাতায় খুব বৃষ্টি হইতেছিল, বাতাসও একটু প্ৰবলবেগে বহিতেছিল। শান্তিদাদা বলিল, “আজ গিয়ে কাজ নেই, একটু খোলসা হোক, তখন যাওয়া যাবে।” সেদিন পঞ্চমী-আর একদিন পরেই পূজা। আমি বলিলাম, “আজি না গেলে কি পূজা শেষ হ’লে যাব ? ভয় কি শান্তিদাদা, আমরা পদ্মাপারের লোক, আমাদের কি এই দুৰ্য্যোগ দেখে ভয় আছে।” শান্তিদাদা হাসিয়া বলিলেন, “আমার তা ভয় নেই ভাই, আমার কাছে যে অমূল্যরত্ন রয়েছে, তারই জন্য ভয় করি।” আমার আগ্ৰহ দেখিয়া শান্তিদাদা যাত্রার জন্য প্রস্তুত হইল। কলিকাতা হইতে গাড়ী ছাড়িবার পর মুষলধারে বৃষ্টি আরম্ভ হইল, ঝড়ও হইতে লাগিল। পরদিন প্ৰাতঃকালে গোয়ালন্দে পৌছিয়া দেখি ঝড়ে গোয়ালন্দকে একবারে ভাঙ্গিয়া চুরিয়া দিয়াছে। সে এক ভীষণ দৃশ্য! আমাদের দুর্ভাগ্যক্রমে তখন একখানি ছোট ষ্টীমার জগন্নাথগঞ্জ । যাইবার জন্য প্ৰস্তুত হইয়াছিল ; তিনদিন পরে ” এই ষ্টীমার যাইতেছে। আমরা তাড়াতাড়ি সেই ষ্টীমারে উঠিলাম ; তখন বৃষ্টি কম হইয়াছে, واعد