পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লাম ; আমার শরীরে যেন একটু বল আসিল। এমন সময় দূরে কোন গতিশীল নৌকার দাড় ফেলার শব্দ পাইলাম। মেঘে সমস্ত অন্ধকার করিয়া রাখিয়াছে, কিছুই দেখিতে পাইলাম না। আমি চীৎকার করিয়া ডাকিতে লাগিলাম। বার বার চীৎকার করিতে করিতে শুনিলাম যে নৌকা হইতে কাহারা সাড়া দিল। তখন একটু আশ্বস্ত হইলাম। কিছুক্ষণ পরেই একখানি নৌকা হইতে একটি ভদ্রলোক লাফাইয়া পড়িলেন। আমি চাহিয়া দেখিলাম-আমার বাবা । • می - ' ' ” আমি তখন চীৎকার করিয়া বলিলাম,-“শান্তিদাদা ?” তাহার পরই অচেতন হইয়া পড়িলাম । যখন আমার জ্ঞানসঞ্চার হইল। তখন দেখিলাম। আমি আমাদের বাড়ীতে একটা বিছানায় শয়ন করিয়া আছি। আমার পার্থে আমার স্নেহময়ী জননী বসিয়া আছেন। আমি মাকে দেখিয়াই অতি ধীরস্বরে বলিলাম “শান্তি দাদা ?” মা আমার দিকে চাহিয়া বলিলেন “বাবা কথা বোলো না, এখন চুপ ক’রে থাক। কথা বললে শরীর আবার অবশ হবে।” । মায়ের কথা শুনিয়া আমি চক্ষু মুদ্রিত করিলাম দিশ তখন ধীরে ধীরে সকল কথা আমার মনে পড়িল ; আমি একটি দীর্ঘনিঃশ্বাস ত্যাগ করিয়া চুপ করিয়া থাকিলাম! পরে শুনিলাম আমি দশদিন অচৈতন্য অবস্থায় ছিলাম। পাবনা হইতে সিবিল সার্জনকে আনিতে হইয়াছিল। অনেক দিন রোগ ভোগের পর আমি সুস্থ হইলাম। সুস্থ হইলাম বটে, কিন্তু সে আমি আর থাকিলাম না। দিন রাত্রি সুধু পদ্মার ভীষণ কল্লোল আমার কৰ্ণে : ধবনিত হইত। আমি পড়াশুনা ত্যাগ করিলাম। ৰাড়ীতেই বসিয়া থাকি ; কোন কাজেই মন লাগে না । 3RGQ