পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈত্রমাসের শেষে হরিদ্ধারে যাইতাম, এবং গঙ্গাস্নানও করিতাম ; দুই তিন দিন ঘুরিরা ফিরিয়া, যেদিকে হয় চলিয়া যাইতাম ! যোবার সেই খুব ৰ'ড় কুম্ভমেলা হয়, সেবারও আমি হরিদ্বারে গিয়াছিলাম। পূর্ব হইতেই শুনিয়াছিলাম যে, হরিদ্ধারে সেবার এত যাত্রীর সমাগম হইবে যে, কিছুতেই লোকের স্থান হইবে না ; এমন কি বাহিরে, গাছের তলায় বা অনাবৃত স্থানেও, লোকে বসিবার স্থান পাইবে না। আমার তাহাতে কোন ভয়েরই কারণ ছিল না ; আমি অনেক কষ্ট সহ্য করিয়াছি, আরও সহিবার জন্য সর্বদা প্ৰস্তুত ছিলাম। তাই, বন্ধুগণ যখন সেবার বলিলেন, “ভায়া, এবার যদি হরিদ্বারে যেতে হয়, তা হ’লে আগে থেকে একটা আডা ঠিক কর।”—আমি সে কথায় কৰ্ণপাত করি নাই, কৰ্ণপাত করিবার প্রয়োজনও অনুভব করি নাই। তাহার পর, যথাসময়ে হরিদ্বারে চলিলাম। পথে যাত্রীর সংখ্যা দেখিয়া বুঝিলাম যে, লোকারণ্যই হইবে। মনে বড়ই আনন্দ হইল। আমি দেরাদুন হইতে হরিদ্ধারে যাইতেছিলাম। তখন দেরাদুনের রেল হয় নাই। রেলে যাইতে হইলে দেরাদুন হইতে ৪২ মাইল এক্ষা বা ডাকগাড়ীতে সাহারণপুরে গিয়া সেখান হইতে রেলে চড়িয়া লুক্সার জংসনে গাড়ী বদল করিয়া হরিদ্বারে যাইতে হইত। এত ঘোরা পথে কেহই যাইত না ; সকলেই হরিদ্ধারে যাইতে হইলে অরণ্যপথে কেহ বা এক্কায়, কেহ বা গো-যানে,-আমার মত লোকে পদব্রজে,-যাইত। এবারও আমি পদব্রজেই গিয়াছিলাম। হরিদ্বার হইতে প্ৰায় এক মাইল দূরে, রাস্তার পার্শ্বে, একটি দেবালয় আছে। দেবালয়টি কে প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন, তাহা বলিতে পারি না ; কিন্তু তাহা অতি সুন্দর। চারিদিকে বাগান, বাগানের মধ্যে মন্দির ; মন্দিরটিও ছোট নহে, আশে পাশে আরও পাঁচ সাতখানি ঘর আছে। []] Noo