পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তিনি মন্দিরের বারান্দায় উঠিলেন ; আমিও তঁহার সঙ্গে সঙ্গে গেলাম। তিনি তখন জিজ্ঞাসা করিলেন “আপনার সঙ্গে কোন আসন আছে কি ?” আমি বলিলাম, “ভগবান এত আসন বিস্তৃত করিয়া রাখিয়াছেন - আমি আসন বহিয়া মরিব কেন ? এই কাপড়খানি, আর গামছাখানি ব্যতীত আমার সঙ্গে একটী লোটা পৰ্যন্তও নাই।” সন্ন্যাসী হাসিয়া বলিলেন, “বহুত খুব ! ” এই বলিয়া বারান্দার পার্শ্ব হইতে একখানি, ছোট কম্বল আনিয়া আমাকে আসন করিতে বলিলেন । আমি বলিলাম “এই ধরাসনই আমার রাজাসন, আমার অন্য আসনের প্রয়োজন নাই।” তখন সন্ন্যাসী রাত্রির আহারের কথা জিজ্ঞাসা করিলেন। আমি বলিলাম “সেজন্য আপনাকে ভাবিতে হইবে না, আমার আহার যাহা হয় হইবে।” তখন আরতির সময় হইল দেখিয়া, সন্ন্যাসী নিকটবৰ্ত্তী ইন্দারার দিকে চলিয়া গেলেন, এবং একটু পরেই আসিয়া মন্দিরে প্রবেশ করিলেন। ইতঃপূর্বেই অন্য লোকে মন্দিরের দ্বার খুলিয়া আলো জালিয়া দিয়াছিল, এবং আরতির আয়োজন করিতেছিল। মন্দিরমধ্যে মহাদেবের লিঙ্গমূৰ্ত্তি; আর কোন মূৰ্ত্তি নাই। আরতির কঁাসির-ঘণ্টা বাজিয়া উঠিল, যাত্রীরা যে - যেখানে ছিল, সকলেই মন্দির-প্রাঙ্গণে সমবেত হইল।” আরতি আরম্ভ হইল ; যাত্রীদিগের মধ্যে কেহ স্তোত্ৰ আবৃত্তি করিতে লাগিল, কেহ বা ভজন গায়িতে লাগিল। একটু পরেই আরতি শেষ হইল। যাত্রীদের অনেকেই, দেবাদিদেবকে প্ৰণাম করিয়া, স্ব স্ব স্থানে চলিয়া গেল ; দুই চারিজন বৃদ্ধ ও প্রৌঢ় মন্দিরের বারান্দায় উপবেশন করিলেন। সন্ন্যাসীও আসিয়া সেখানেই বসিলেন। তখন ধৰ্ম্মালোচনা আরম্ভ হইল ; আগন্তুকগণের মধ্যে অনেকে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিতে লাগিলেন ; সন্ন্যাসীও তাহার উত্তর দিতে লাগিলেন। সন্ন্যাসীর কথাবার্তায় বুঝিতে পারিলাম, তিনি খুব পণ্ডিত ও জ্ঞানী ব্যক্তি ; সাধারণ পুরোহিতের মত নহেন। আমি V96ʻt