পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই ধৰ্ম্মালোচনার মধ্যে কোন কথাই বলিতেছি না দেখিয়া, সন্ন্যাসী আমাকে বলিলেন, “লেড়কী ! তুমি যে কোন কথাই বলিতেছ না ! ক্ষুধা পাইয়াছে কি ? আমি বলিলাম, “বলিবার কথা ত বেশী নাই বাবা, শুনিবার কথাই বহুত। আপনাদের কথাই শুনিতেছি ; আমি আর কি বলিব ?” আমার কথা শুনিয়া, সেখানে উপবিষ্ট একটি বৃদ্ধ আমার দিকে ফিরিয়া বসিলেন, এবং আমার সহিত কথাবার্তা আরম্ভ করিলেন। তিনি আমার পরিচয় জিজ্ঞাসা করিলেন ।--আমার আবার পরিচয় কি ? আমি অতি সংক্ষেপে আমার দুঃখময় জীবনের কাহিনী বলিলাম। বৃদ্ধ, আমার কথা শুনিয়া, একটি দীর্ঘনিঃশ্বাস পরিত্যাগ করিলেন ; তাহার পর, ধীরে ধীরে বলিলেন, “বাবা, তোমার কথা শুনিয়া আমার বড় কষ্ট হইতেছে। এই অন্ধকারে তোমার মুখখানি দেখিতে পাইতেছি না ; কিন্তু তোমার স্বর শুনিয়া আর এক হতভাগ্যের কথা আমার মনে হইতেছে!” এই বলিয়া বৃদ্ধ নীরব হইলেন। র্তাহার কথা শুনিবার জন্য যদিও আমার কৌতুহল হইল, কিন্তু আমি কোন কথা জিজ্ঞাসা করিতে পারিলাম না ; চুপ করিয়া বসিয়া রহিল্লাম। একটু পরেই বৃদ্ধ আমাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “বাবা রাত্ৰিতে তোমার কি আহার হইবে ?” আমি ৰলিলাম, “কিছু না।” বৃদ্ধ বলিলেন, “সে কি কথা ? তুমি অনাহারে থাকিবে ? ওবেলায় কি খাইয়াছ ?” আমি বলিলাম “চারিটি ভুজ।” বৃদ্ধ বলিলেন “কি, তুমি আজ তামাম দিন ভুজ খাইয়া আছ ? রুটী বানাও নাই?” আমি বলিলাম “বিশেষ প্রয়োজন মনে করি নাই!” আমার কথা শুনিয়া সন্ন্যাসী হাসিয়া বলিলেন, “তুমি আহারটাকে কি কোন প্রয়োজনের মধ্যেই ধর না ?” আমি বলিলাম, “ক্ষুধা নিবারণের প্রয়োজন আছে বই কি ; কিন্তু যাহা হয় কিছু হইলেই ক্ষুগ্নিবৃত্তি হয়। রুটাই যে খাইতে হইবে,- এমন কোন কথা VS