পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাই।” সন্ন্যাসী হা-হা- করিয়া হাসিয়া উঠিলেন। বৃদ্ধ তখন উঠিয়া দাড়াইয়াছেন ; তিনি বলিলেন, “তা হবে না। আমরা সকলেই খাইব, আর তুমি ভুখা থাকিৰে ;-ত কি হয়! আমার সঙ্গে মহারাজ (রাসুয়ে ব্ৰাহ্মণ) আছে, তোমার আহার আমাদের সঙ্গেই হইবে ; আমি বলিয়া আসিতেছি।” এই কথা বলিয়া বৃদ্ধ বাগানের এক পার্শ্বে চলিয়া গেলেন। সন্ন্যাসী বলিলেন, “তোমার লোকনাথ:আহার মিলাইয়া দিলেন ।” তাহার পর নানা কথা হইতে লাগিল ; বৃদ্ধও ফিরিয়া আসিয়া আমাদের কথায় যোগদান করিলেন । ঘণ্টাখানেক পরে একটি লোক আসিয়া সংবাদ দিল যে, আহার প্ৰস্তুত হইয়াছে। বৃদ্ধ আমাকে সঙ্গে লইয়া বাগানের এক পার্থেউপস্থিত হইলেন। দেখিলাম সেই স্থানে দুইটি বস্ত্ৰাবাস রহিয়াছে; একটা ছোট, অপরটি অপেক্ষাকৃত বড়। আমরা সেই বড় বস্ত্রাবাসের মধ্যে প্ৰবেশ করিলাম। সেই বস্ত্রাবাসের মধ্যে একটী “হারিকেন লণ্ঠন জ্বলিতেছিল। সেই আলোকে দেখিলাম, এক পার্শ্বে একটি বিছানার উপর দুইটি মহিলা বসিয়া আছেন ; একজন ৰবীয়সী, অপরুজন যুবতী। সম্মুখেই মৃত্তিকাসনে একটি স্ত্রীলোক বসিয়া আছে ; বুঝিতে পারিলাম সেটি দাসী বৃদ্ধ বস্ত্রাবাসের অপর পার্শ্বস্থ একটি বিছানায় আমাকে বসিতে বলিলেন। আমি সেই বিছানায় উপবিষ্ট হইলে বৃদ্ধও আমার পার্থে আসিয়া বসিলেন। একটি ভূত্য তামাক লইয়া আসিল। বৃদ্ধ আমাকে তামাক খাইতে ৰলিনেন। আমি বলিলাল “আমি তামাক খাই না”। তৃত্য তখন একটা আলবেলায় কলিকাটা চড়াইয়া দিল ; বৃদ্ধ তামাক সেবন করিতে লাগিলেন এবং ঘন ঘন আমার দিকে চাহিতে লাগিলেন । আমি তাহার এ দৃষ্টির কোন অর্থই বুঝিতে পারিলাম না! একটু পরেই বৃদ্ধ উঠিয়া গেলেন এবং পুৰ্ব্ব-কথিত বৰীয়সীর নিকটে যাইয়া তাহাকে চুপে চুপে কি ৰিলিলেন। \9ፃ