পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গিয়া।”-আমি আমার ভ্ৰম বুঝিতে পারিলাম ; বলিলাম, “আমাকে ক্ষমা করিবেন; আমি আপনার কথা না বুঝিয়া অন্যায় কথা বলিয়া ফেলিয়াছি।” তিনি কি বলিতে যাইতেছিলেন ; এমন সময় ভূত্য আসিয়া বলিল, দ্বিতীয়বস্ত্রাবাসে আহারের স্থান হইয়াছে। বৃদ্ধ তখন আমাকে লইয়া আহারের স্থানে গেলেন। লোকনাথ আমার জন্য সে রাত্ৰিতে সেই পাহাড়ের মধ্যে রাজভোগই মাপাইয়া রাখিয়াছিলেন ! আহার করিতে করিতে বৃদ্ধ বলিলেন “বাবুজি ! আমার যে ছেলেট ফেরার হইয়াছে, তাহার চেহারার সহিত তোমার চেহারার অনেকটা মিল আছে। আমি সেই কথাই আমার পরিবারকে বলিতেছিলাম ; তিনিও তাঁহাই বলিলেন।” ভাল কথা -আমি কোথাকার বাঙ্গালী, আর তিনি লুধিয়ানা জেলার একজন জমিদার ; আমি পথের ভিখারী, তিনি একজন ब्रॉरेन्!-छांभांद्र 65शब्र, র্তাহার পলাতক পুত্রের চেহারার মত ! যাক,-এই পাহাড়ের মধ্যে যদি পিতামাতার স্নেহ পাওয়া যায়, তবে মন্দ কি ! আহার শেষ হইলে আমি বলিলাম, “আমি তাহা হইলে মন্দিরে যাই।” বৃদ্ধ আমার হাত চাপিয়া ধরিয়া বলিলেন, “তা হইবে না ; তোমার সঙ্গে বিছানাপত্ৰ কিছুই নাই! তুমি আমাদের তাম্বুতেই শয়ন করিবে, চল।”- একই তাম্বুর মধ্যে একপার্থে স্ত্রীলোকেরা থাকিবেন; আর তাহারই মধ্যে সম্পূর্ণ অপরিচিত আমি, কেমন করিয়া রাত্ৰি কাটাই ! এই কথাটাই একটু ঘুরাইয় তাহাকে বলিলাম। তিনি আমার কোন আপত্তিই মঙ্গুর করিলেন না ; কাজেই আমাকে সেই ৰািন্ত্রাবাসেই রাত্রি কাটাইবার জন্য প্ৰস্তুত হইতে হইল। আমার জন্য তখনই পৃথক একটা শয্যা রচনা হইল ; কিন্তু তখনই নিদ্রাদেবীর শরণ গ্ৰহণ করা হইয়া উঠিল না! বৃদ্ধ তখন নিজের দুঃখের কথা আরম্ভ করিলেন। বৃদ্ধ বলিলেন, “তোমাকে পূর্বেই বলিয়াছি, আমার মত হতভাগ্য। আর