পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এ সংবাদ শুনিয়া মন বড়ই কাতর হইল।-হাজারও হউক সন্তান ত বটে। তখন অনুশোচনা উপস্থিত হইল ; মনে হইল, চেষ্টা করিলে হয় ত তাহাকে বঁাচাইতে পারিতাম।-কিন্তু তাহা আর হইল কৈ ! তাহার পর ভাবিলাম, এই শাস্তির পর, তাহার স্বভাব হয় তা ভাল হইবে ; সে বাড়ীতে আসিয়া ঘরসংসার করিবে। তিনমাস পরে, যে দিন তাহার করামুক্তি হইবার কথা, সেইদিন আমার এক গোমস্তাকে পাঠাইয়া দিলাম। সে ফিরিয়া আসিয়া সংবাদ দিল যে, জেলের মধ্যে বেশ ভাল ভাবে থাকায় সরকার বাহাদুর তাহাকে তিনদিন পূর্বেই ছাড়িয়া দিয়াছেন। আমার গোমস্ত সেখানে তাহার অনুসন্ধান করিল ; কিন্তু কোন খোঁজই পাইল না! আমার পরিবার বলিলেন যে, মনের দুঃখে এবং লজ্জায় সে দেশত্যাগী হইয়াছে ;-আর সে বাড়ীতে আসিবে না । কেনই বা তাহার বিবাহ দিয়াছিলাম।—এখন বধুমাতার মুখ দেখিলে, আমার বুক ফাটিয়া যায়! তঁহার বাপ ভাই, কতবার তঁহাকে লইয়া যাইবার জন্য আসিয়াছিল; কিন্তু বধু মাতা। যাইতে চাহেন নাই! জিজ্ঞাসা করিলেই বলেন, “তিনি যদি হঠাৎ ৷ আসেন, আর বাড়ীতে আমাকে না দেখেন, তাহা হইলে কি মনে করিাবেন!’ এমন মেয়ে হয় না। মা আমার সাক্ষাৎ লক্ষ্মী! এমন মেয়ের অদৃষ্টেও ভগবান এত কষ্ট লিখিয়াছিলেন;--ছেলেটা বঁচিয়া আছে, কি মরিয়া গিয়াছে, তাই বা কে বলিবে ? বীে-মা আমার কোন দিন কিছু বলেন না ; নীরবে চক্ষের জল ফেলেন ; শরীরের উপর যত্ন নাই; কোন সাধ-আহলাদ নাই। র্তাহার মুখের দিকে চাহিলে আমার-বুক ফাটিয়া যায় ; কিন্তু তাহার এ বেদনা দূর করিবার ত কোন উপায় দেখি না। তঁহাকে কত ব্ৰত-নিয়ম করিতে বলি ;-তিনি একই কথা বলেন, “তিনি আসুন,- তখন সব করিব।”* , ..., “এমনই করিয়া চারি বৎসর গেলঃ তাহার ত কোন খোজই পাইলাম না।

  • 8 R