পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এবার এখানে কুম্ভমেলা -আমি কখনও কোন তীর্থে যাই নাই ; আমার পরিবারও কখন তীর্থে যাইবার কথা আমাকে বলেন নাই। —সেদিন বন্ধুমাতা আমার পরিবারকে বলিলেন যে, ‘এবার গঙ্গাঙ্গানে গেল ভাল হয় ।” আমার পরিবার তাহাতে বলেন যে,-“এবার হরিদ্ধারে যাওয়া বড়ই কষ্টকরা হইবে ;-এবার সেখানে অনেক লোক হইবে, থাকিবার স্থান মিলিবে না।” বধুমাতা তাহাতে বলেন, ‘এবার সেখানে চলুন ; আমার মনের মধ্যে কে যেন বলিতেছে- সেখানে গেলে তঁাহার দর্শন মিলিবে । আজ কয়দিন হইতেই আমার মনের মধ্যে ঐ কথা জাগিতেছে ; কে যেন যখন তখনই বলে, মেলায় যা, সেখানে তোর স্বামী মিলিবে ।” আমার পরি বারের নিকট যখন এই কথা শুনিলাম, তখন আমি সকলকে লইয়া এখানে আসিবার সঙ্কল্প করিলাম। বধুমাতা কখনও কোন কথা বলেন না ; আজ চারিবৎসর কোন কিছুই বলেন নাই। এবার যখন র্তাহার এখানে আসিবার ইচ্ছা হইয়াছে,-আর তঁহার মনে যখন কথাটা উঠিয়াছে যে, এখানে এলে লছমনপ্ৰসাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হইবে,-তখন যত টাকা লাগে, যত অসুবিধাই হউক,-আমাকে আসিতেই হইবে।--তাই তাড়াতাড়ি যথাসম্ভব বন্দোবস্ত করিয়া, এখানে उानेिब्रांछेि। qछे মন্দিরের সেবাইৎ সন্ন্যাসী মধ্যে মধ্যে আমার গরিবখানায় পদধূলি দিয়া থাকেন; তাই এখানে তঁহারই আশ্রয়ে আসিয়াছি।-বধুমাতার কথা সম্পূর্ণ না ফলুক, কিছু ফলিয়াছে ;-আমরা তোমাকে ত পাইয়াছি। তুমিই এখন আমাদের ছেলের মত ; তোমাকে আমাদের সঙ্গে যাইতে হইবে। সংসারে ত তোমার কেহই নাই। যে কয়দিন আমি বঁচিয়া থাকি, তুমি আমার কাছে থাকিও ; তার পর যার অদৃষ্ট যা থাকে, তাই হইবে।” বৃদ্ধের কথা শুনিয়া আমার বড়ই কষ্ট হইল, আমি বলিলাম, “আপনি নিরাশ হইতেছেন কেন ? তিনি অবশ্যই ফিরিয়া আসিবেন। সতী-রমণীর 8v)