পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কথা বৃথা হয় না। এত কাল ত আপনার পুত্রবধু কোন প্রকার খোঁজ খৰরের জন্য অনুরোধ করেন নাই। এবার তিনি অনুরোধ করিলেন কেন ? এতকাল পরে তিনি এখানে আসিতে চাহিলেন কেন? তাহার মনের মধ্যে কে ডাকিয়া বলিয়াছে, এখানে এলে তঁর সঙ্গে দেখা হবে। আমার বিশ্বাস, এবারই তার সঙ্গে আপনাদের সাক্ষাৎ হবে!” বৃদ্ধ বলিলেন, “এমন অদৃষ্ট কি হবে ? বিশেষ সে, যতই অপরাধ করুক, তাকে আমার ক্ষমা করা উচিত ছিল ;-অন্ততঃ বৌমার দিকে চাহিয়াও তাহার উদ্ধারের জন্য চেষ্টা করা উচিত চিল। কি জান বাবা, এক এক সময়ে উচিত অনুচিত জ্ঞান থাকে না। আমার তখন বড়ই রাগ হইয়াছিল ; তাহার ফলও ভোগ করিতেছি।-আরও কতকাল ভূগিতে হইবে, ভগবানই জানেন!-যাক, রাত্রি অনেক হয়েছে; কা’ল আবার খুব ভোরে উঠতে হবে।--তুমি বাবা, আমাদের সঙ্গ ছেড়ে না।” তাহার পর আমরা শয়ন করিলাম ; বিছানায় শুইয়াও অনেকক্ষণ নানাবিষয়ে কথাবাৰ্ত্ত হইল। পূৰ্ব্বদিক আলো হহবার পূর্বেই, যাত্রীরা মহাকলরব করিয়া, হরিদ্বারে স্নান করিবার জন্য বাহির হইল ; আমরাও তাড়াতাড়ি বাহির হইলাম।-বৃদ্ধের পটমণ্ডপ রক্ষার জন্য একজন চৌকীদার থাকিল। তাহার পর গঙ্গাস্নান। সে এক অভিনব দৃশ্য ! তাহার বর্ণনা আর । দিব না, সে কথা বলিবার জন্যও এ প্রস্তাব নহে। সরকার বাহাদুর যে প্রকার সুবন্দোবস্ত করিয়াছিলেন, তাহাতে কাহারও স্নানের অসুবিধা হয় নাই। আমরা সকলে স্নান শেষ করিয়া উপরে উঠলাম। বৃদ্ধ সেই বাগানে যাইবার জন্য প্রস্তুত হইলেন। আমি বলিলাম, “আপনারা যান, আমি একবার চারিদিক ঘুরিয়া আসি।” বৃদ্ধ বলিলেন, “এখন বাসায় চল, আহারাদির পর বেড়াইতে আমিও।” আমি বলিলাম, “না,-আপ- , 88