পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাহার পর এই জীর্ণ তৃণাচ্ছাদিত কুটীর কি আর সঙ্গতিপন্ন তালুকদার, লব্ধ-প্রতিষ্ঠ অধ্যাপক শ্ৰীযুক্ত রঘুনাথ ভট্টাচাৰ্য্য সাহিত্য-তীর্থের বাসের উপযুক্ত বলিয়া বিবেচিত হইবে ? তখন সুদৃশ্য দ্বিতল অট্টালিকার প্রয়োজন হইবে। তাহার পর বিষয়ী লোক হইলেই দশটা মামলা মোকৰ্দমা করিতে হইবে, দশটা মিথ্য সাক্ষ্য, দশখানা জাল দলিল প্ৰভৃতি সমস্তই করিতে হইবে। কেমন ? ব্যস, মনুষ্য-জীবনের কৰ্ত্তব্য সব অনুষ্ঠিত হইয়া গেল ! তখন আগা গোড়া ঠিক নামাইয়া দেখিলাম, এই যে সব জঞ্জাল স্কন্ধে করিতে যাইতেছি, ভবিষ্যতে এই যে সকল অবস্থা হইবার সম্পূর্ণ সম্ভাবনা বৰ্ত্তমান, এ সকল কিসের জন্য। আমি বিনা আয়াসে, বিনা শাস্ত্রালোচনায়, অতি সহজে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হইলাম যে, প্ৰতিদিন হাত পূড়াইয়া নিজের দুইটী অন্ন প্ৰস্তুত করিবার ভয়েই এ সকল গ্রহের সৃষ্টি-এই সংসাজা রে, সংসাজা । খ্যাপা কি সাধে গায়িয়াছেন ;- কারে তুই দেখা রে সং, বল দেখি মন হাসিস এমন হা হা করে। সংসারে সকলেই সং, ভেবে দেখা মন, সংসারে সং ছাড়া নেই রে ; কেহ বা সংসার ছেড়ে সং সেজেছে, সংসারে কেউ সৎ সাজে রে । ভূমিষ্ঠ হলি যখন, তখনই সং সাজিলি মন, ভেবে দেখা রে ; কাটালি ছেলেবেলা, করে খেলা । মেখে ধূলা সব শরীরে।" S