পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিন্তু ক্ৰমে সকলেই বুঝিল যে, আমি আপন গণ্ডাও বুঝি, পরের গণ্ডাও বুঝাইয়া দিতে জানি। এই আমি-“রঘো পাগলা ।” আমি এখন কি করি, তাই জিজ্ঞাসা করিতেছ? আমি অতি প্ৰত্যুষে উঠিয়া গঙ্গাস্নান করিয়া আসি, তাহার পর নিজে যাহা বুঝি, নিজে যাহা । ভাবি, সেই হিসাবে ইষ্টদেবতার পূজা অৰ্চনা শেষ করি ; তাহার পর গ্রামের মধ্যে বাহির হই। যাহার যাহা কিছু অভিযোগ, যাহার যাহা কিছু আবদার, সব এই রঘুর কাছে। রঘু সকলের জন্য খাটিয়া যথাসাধ্য করিয়া কোন দিন বেল দ্বিপ্রহরে, কোন দিন আড়াই প্ৰহরে, কোন দিন একেবারে অপরাহ্নকালে ঘরে ফিরিয়া আইসে। তখন যদি ইচ্ছা হয়, দুইটা আতপান্ন প্ৰস্তুত করিয়া উদর দেবের তৃপ্তি সাধন করি, আর না হয় মুড়ি-গুড়-নারিকেল দ্বারা উৎকৃষ্ট জলযোগ সুসম্পন্ন করিয়া দাওয়ায় মাদুর পাতিয়া বিশ্রাম করি। সন্ধ্যার সময় সন্ধ্যা গামাত্রী শেষ করিয়া দাওয়ায় বসিয়া গান করি।-- তারা, কোন অপরাধে, এ দীর্ঘ মেয়াদে, সংসার-গারদে রাখিস বল।-- এমন সময় হয় ত শিরোমণি ঠাকুরের মেয়ে পুটি আসিয়া ডাকে, “ও মামা! তুমি বসে গান গাইছ। বাবা বাড়ী নেই, লক্ষ্মীপুরে কালীপূজা করতে গেছেন ; এ দিকে ছোট খোকা যে পাচ বার ভেদ হয়ে একেবারে নেতিয়ে পড়েছে। শীগগীির এস, শীগগীির এস।” তখন আর কি করিব ! তাড়াতাড়ি উঠিয়া ঘরের দ্বার বন্ধ করিয়া শিরোমণি ঠাকুরের বাড়ীর দিকে দৌড়াই, আর মনে মনে বলি, “ওরে, মায়া-বোড়ী কেটে এবার সংসার, আমায় দে ছেড়ে ।” এমনই করিয়া আজ ইহার বাড়ী অসুখ, কাল উহার বাড়ী শ্ৰাদ্ধ, পরশ্ব তাহার বাড়ী অন্নপ্রাশন ; আজ ইহার ছেলেটি জন্মিল, কাল উহার মেয়েটি (¢ዓ