পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মারা গেলা-গ্রামের এই সব লইয়াই আছি। আমি এখন এই গ্রামের সরকারী রঘু; মান-সন্ত্রমের কথা নাই, ব্রাহ্মণ-শূদ্ৰ নাই, বড় ছোট নাইবিপদে পড়িলেই রঘু; আবার সুখের সময়,-মিথ্যা কথা বলতে পারব না। —সুখের সময়ও রঘু। আজ মতি হালদারের নূতন পাশকরা জামাই আসিয়াছে—যা যা, রঘুকে খেতে ব’লে আয়। আজ মুখুয্যেদের নূতন গাছের কঁঠাল পাকিয়াছে—যা, যা, রঘুকে ব’লে আয়, আজ দুপুরে যেন এখানেই খায়। গ্রামে আছি ভাল-বেশ আছি । কিন্তু দেখ, যত গোল বাধে আমার এই সকল পূজা পাৰ্ব্বণ উপলক্ষে। আমি এই সকল পা”লপার্বণ যেন দেখিতে পারি না, দেবতা লইয়া এ খেলা দেখিলে আমার বুক ফাটিয়া কান্না আইসে ; আমার মনে হয়, আমরা কি মানুষ-না পশু ? দেবতার সঙ্গে খেলা। এই যে বার মাসে তের পাৰ্ব্বণ হয়, এই সকলে আমি কখনও যোগ দিই নাই-দিবও না । কোন বাড়ীতে আমি কোন পূজায় নিমন্ত্রণ রক্ষা করিতে যাই না-যাইতে আমার মন সরে না। এই দেখ না, সম্মুখে দুর্গোৎসব আসিতেছে। কি প্রতারণা! কি আত্মপ্রবঞ্চনা! আর সে খেলা কি যাহাকে তাহাকে লইয়া --মা আদ্যাশক্তিকে লইয়া খেলা ! তখন কাঙ্গালের সেই গান আমার भ८ - শক্তিপূজা কথার কথা না। যদি কথার কথা হ’ত, চির দিন ভারত শক্তি পূজে শক্তিহীন হ’ত না। কেবল ডাকের গয়নায়, ঢাকের বাজনায় শক্তিপূজা হয় না ; এক মনো-বিদ্বদল, ভক্তি গঙ্গাজল, শতদল দিলে হয়। সাধনা । (হৃদয়) । 2切*