পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাশয় বাহিরের অৰ্দ্ধ-ভগ্ন চণ্ডীমণ্ডপের দাওয়ায় বসিয়া আছেন । তিনি আমাকে দেখিয়াই ডাকিলেন,-“রঘু, এদিকে এস বাবা!” আমি তাহার নিকট উপবেশন করিলে তিনি বলিলেন,-“রঘু, এবার আর মাকে আনির না, আর পূজা করিব না ! কার জন্য, কিসের আশায় ঘরে থাকি রঘু! ঐােজ সাত বৎসর দীনবন্ধুর পথ চাহিয়া আছি। —আর পারি না। দীনবন্ধু ! তোমার মনে এই ছিল |” পাষাণ ফাটিয়া যেন একটা দীর্ঘনিঃশ্বাস বহির্গত হইল। পূর্বেই বলিয়াছি, সে সময় আমার মনের অবস্থা ভাল ছিল না ; তাহার পর বৃদ্ধ হালদার মহাশয়ের এই মৰ্ম্মভেদী কাতরোক্তি শুনিয়া আমি যেন কেমন হইয়া গেলাম, আমার বুকের মধ্যে যেন কেমন করিয়া উঠিল! আর কি হইল, তাহা আমি বলিতে পারি না। আমি, কি জানি কেন, বলিয়া উঠিলাম “দীনবন্ধু আসিবে, এই পূজার পূর্বেই সে নিশ্চিত আসিবে।” কোন দিন এমন কথা আমি ভাবি নাই, কোন দিন এমন সাস্তুনা-বাক্য আমার মুখ দিয়া বহির্গত হয় নাই। আজ কেন এমন কথা বলিয়া ফেলিলাম। তাহা আমিই বলিতে পারি না । কে এমন দৈববাণী আমার মুখ দিয়া বাহির করিল ? আমার এই দৃঢ়তাপূর্ণ ভবিষ্যৎবাণী শুনিয়া বৃদ্ধ হালদার মহাশয় বলিলেন,-“কি বলিলে রঘু! এমন কথা ত তোমার মুখে কখনও শুনি नाझे । नौनदर्छु আসিবে ?” আমি অধিক দৃঢ় স্বরে বলিলাম—“হা, দীনবন্ধু আসিবে।” বৃদ্ধ তাহার পর আমার হাত দুখানি চাপিয়া ধরিলেন, কাতর বচনে বলিলেন,-“রঘুনাথ তোমার কথা ত মিথ্যা হয় না। বাবা ! তোমায় তা আমি অনেক দিন হইতে জানি, তুমি শাপভ্রষ্ট দেবতা। তোমার কথা ফলিবে-আমার দীনবন্ধু আসিবে।” · · · আমি আর সেখানে বসিয়া থাকিতে পারিলাম না ; উঠিয়া মাঠের দিকে &9R