পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙ্গালীকেই আমার আপনার জন বলিয়া মনে হইত। ইহা কি झखद्ध नि ? ভূমিকা করিতেই এতক্ষণ গেল। এখন যাহা বলিবার জন্য এই প্ৰস্তাবের অবতারণা, তাহারই অনুসরণ করি। এক বৎসর গ্রীষ্মকালে প্ৰতাপনারায়ণের একটা বিশেষ কাৰ্য্যের জন্য আমাকে কলিকাতায় যাইতে হইয়াছিল। এবার এই সহরবাসী শ্ৰীযুক্ত বামাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় কলিকাতায় তাহার জামাতার বাড়িতে থাকিবার জন্য আমাকে অনুরোধ করিয়ছিলেন। বামাচরণ বাবু জাতিতে বাঙ্গালী বটে।-- কিন্তু ধৰ্ম্মে না। হিন্দু-না মুসলমান-না খষ্টান-না। ব্ৰাহ্ম। তিনি কিছুই মানিতেন না,-সকল জাতির অন্নই আহার করিতেন-কোন প্রকার পূজা, উপাসনা প্ৰভৃতি কিছুই তঁহাকে করিতে দেখিতাম না। বয়সও কম। হয় নাই-এক প্রকার বৃদ্ধ বলিলেও হয়। সিভিল ম্যারেজ আইনানুসারে তিনি কলিকাতার একটী বাবুর সহিত র্তাহার বড় মেয়ের বিবাহ দিয়াছিলেন। সত্য মিথ্যা জানি না, বাবুটী নাকি কায়স্থের ছেলে। বামাচরণ বাবু বিপত্নীক। তাহার পুত্রসন্তান ছিল না-দুইটী কন্যা। বড় কন্যা বিৰাহিতা-ছোট কন্যাটির বয়স সতর বৎসর উত্তীর্ণ হইয়া গিয়াছে-ভালছেলে না পাওয়ায় বিবাহ দিতে পারেন নাই। আমরা যখন ছত্রিশগড়ে ছিলাম, তখন একজন বাঙ্গালী ভদ্রলোক সরকারী কাৰ্য্যোপলক্ষে সেখানে বাস করিতেন! তিনি ব্রাহ্ম-ধৰ্ম্মাবলম্বী ছিলেন। তঁহার একটি পুত্র এম, এ-পাশ করিয়া কলিকাতার এক কলেজে অধ্যাপকের কাৰ্য্য করিতেন। আমার সহিত র্তাহার বিশেষ জানা শুনা ছিল। কথাপ্রসঙ্গে এই ছেলেটির কথা জানিতে পারিয়া বামাচরণ বাবু তাহার সহিত কন্যার বিবাহ দিবার ইচ্ছা প্ৰকাশ করেন। তদনুসারে আমি সেই অধ্যাপককে পত্ৰ লিখি এবং মেয়েটার ফটোগ্ৰাফও .\ኃbሦ