পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঠাইয়া দিই। এই বার যখন কলিকাতায় যাইতেছিলাম, তখন আমাকে বিশেষভাবে আপ্যায়িত করিবার জন্যই তিনি তাঁহার বড় জামাতার গৃহে আতিথ্য গ্ৰহণ করিতে আমাকে অনুরোধ করেন এবং যাইবার সময় বিশেষভাবে বলিয়া দেন যে, আমি যেন তঁহার কনিষ্ঠা কন্যার বিবাহের কথাটা পাকা করিয়া আসি । আমি কলিকাতায় পৌঁছিয়া প্ৰথমে প্ৰতাপনারায়ণের কাৰ্য্য শেষ করিলাম ; তাহার পর একদিন সেই অধ্যাপকের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া । বিবাহের কথা প্ৰায় পাকা করিয়া ফেলিলাম। অধ্যাপক মেয়েটকে একবার দেখিবার অপেক্ষা মাত্র রাখিলেন । কলিকাতা ত্যাগ করিবার পূৰ্ব্বদিন প্ৰাতঃকালে বামাচরণ বাবুর এক টেলিগ্রাম পাইলাম-তিনি আমাকে অনুরোধ করিয়াছেন যে,-নম্বর ওয়েলেসলি লেনে একটী খৃষ্টান মহিলা আছেন ; তঁহাকে যেন আমি সঙ্গে লইয়া যাই। বামাচরণ বাবুর এই টেলিগ্রামের সম্যক মৰ্ম্ম বুঝিতে না পারিয়া আমি সেই দিনই আহারান্তে ওয়েলেসলি লেনে সেই মহিলার সহিত সাক্ষাৎ করিতে যাই। মহিলাটি আমার নিকট র্তাহার যে পরিচয় প্ৰদান করিলেন, তাহার সংক্ষিপ্তসার এই যে, তিনি কুলীন ব্ৰাহ্মণের কন্যা ছিলেন। আটবৎসর বয়সে এক বৃদ্ধের সহিত র্তাহার বিবাহ হয় ; নয় বৎসর বয়সের সময় তিনি বিধবা হন। র্তাহার এক মাতুল কলিকাতায় বড় চাকুঁৱী করিতেন। তিনি সেই মাতুসের নিকট আসিয়া বাস করিতে থাকেন এবং মাতুল কন্যাদিগকে শিক্ষা দিবার জন্য যে খৃষ্টান মহিলা প্রত্যহ আসিতেন, তিনি তাহার নিকট শিক্ষালাভ করিতে আরম্ভ করেন। তাহার বয়স যখন অষ্টাদশ বৎসর, তখন তাহার শিক্ষা সম্পূর্ণ হয়। তিনি তখন গোপনে গৃহত্যাগ করিয়া সেই খৃষ্টান মহিলার আশ্রয় লাভ করেন- তাহার পর খষ্টানধৰ্ম্ম অবলম্বন করিয়া একটী বাঙ্গালী ܕܣ