পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমি অতি সংক্ষেপে সে সংবাদ প্ৰদান করিলে, তিনি হৃষ্টচিত্তে প্ৰস্থান করিলেন ; আমিও বামাচরণবাবুর প্রতিবেশী হরিশবাবুর বাড়ীতে উপস্থিত হইলাম। অন্যান্য কথার পর হরিশবাবু বলিলেন, “আরে শুনেছ মতি! ভারি এক মজা হয়ে গিয়েছে। আজ দিন দুই তিন হ’ল, একটা মাগী এসে বামাচরণবাবুর বাড়ীতে হাজির ৷ বুড়ী, নয় হে-- যুবতী ! কে জানে বাপু, কি জাত। খৃষ্টান টুষ্টান কিছু হবে! আমাদের বাড়ীর মেয়েরা ত আর ওদের বাড়ী যায় না-সব কথাও জানা যায় না ! দূর হোক সে কথা। আমি পরশু দিন বামাচরণ বাবুকে ডেকে বল্লম, “দেখুন মশাই আমরা গোরস্ত মানুষ, মেয়েছেলে নিয়ে বাস করি। আপনি যে আপনার বাড়ীতে কোথাকার কে একটা মেয়েমানুষকে নিয়ে এসে রেখেছেন—আর দিনরাত হাৰ্ম্মোনিয়াম বাজছে, গান চলছেএ সব আমরা কি করে সয়ে থাকি ।--আপনার বাড়ীতেও যুবতী মেয়ে আছে—আপনিই বা কি করে এ সব প্রশ্ৰয় দেন! শুনলুম, সে আপনার আত্মীয়-কুটুম্ব নয়। এনেছেন, বেশ করেছেন-নিন্দা-কলঙ্কের ভাগী আপনিই হবেন। কিন্তু তাকে ভদ্রপল্লীর মধ্যে রাখতে পার্বেন না। পাশাপাশি বাড়ী—এ কিছুতেই হবে না। জানেন ত এপাড়ার বদমাইসেরা কেমন! তারা যদি ক্ষেপে ওঠে, তাহলে আপনার মান বঁাচান ভার হবে।” বামাচরণবাবু আমার কথার কোন উত্তর না দিয়ে মুখ ভার ক'রে চলে গেলেন। আজ শুনলুম নয়াগঞ্জে একটা ছােট বাড়ী ভাড়া করে তাকে সেখানে তফাৎ করেছেন। বাঁচা গিয়েছে। দেখ দেখি বাপু আক্কেলটা ! বুড়া মানুষ-ঘরে এত বড় অবিবাহিতা মেয়ে --আর তোর এই মতিগতি !-ছি-ছি-ছি!”। আমি আর কোন কথা ভাঙ্গিলাম না । খানিকক্ষণ গল্প-গুজব করিয়া চলিয়া আসিলাম । ηνο