পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশ পািনর দিন যায় ; আমি প্রায়ই বাঙ্গালী বাবুদের পাড়ায় যাই—বামাচরণবাবুর বাড়ীতেও যাই ; কিন্তু সে স্ত্রীলোকটর কথা আর জিজ্ঞাসা করি না । একদিন অপরাকুকালে বাজারের দিকে বেড়াইতে গিয়াছিপথের মধ্যে একটা হিন্দুস্থানী ভদ্রলোকের সহিত সাক্ষাৎ হইল। তিনি এখানকার আদালতে চাকুরী করেন-প্ৰতাপনারায়ণের ওখানে সর্বদাই যাতায়াত করেন—তাই আমার সহিত তাঁহার পরিচয় হইয়াছিল। তিনি আমাকে দেখিয়া বলিলেন, “‘বাবুজী, বামাচরণবাবুকো সাদিমে আপনা লোগাকো জরুর নিমন্ত্রণ হোগা ।” আমি বলিলাম—“বামাচরণ বাবুকো সাদি ।-আপ কেয়া বোলতে হেঁ৷ ” তিনি তখন বলিলেন যে, বামাচরণবাবু সিভিলম্যারেজ-আইন অনুসারে কোন একটী খৃষ্টান যুবতীকে বিবাহ করিবেন। আইন অনুসারে বিবাহের কয়েকদিন পূৰ্ব্বে কাছারীতে নোটিশ দিতে হয়, তাই সে দিন নোটিশ দিয়া গিয়াছেন। বিবাহের দিন যথারীতি রেজেষ্টারী হইয়া বিবাহ হইবে । কথাটা শুনিয়া আমার বড়ই কষ্ট হইল। বুড়া বামাচরণবাবুর উপর বড়ই রাগ হইল। সতর বৎসর বয়সের আইবুড়ে মেয়ে ঘরে-তাহার বিবাহের খোঁজ নাই-এ দিকে পঞ্চান্ন বৎসরের বুড়া বিবাহ করিতে যাইতেছেন!! আমি বাজারের দিকে না গিয়া বামাচরণবাবুর বাড়ীতে আসিয়া উপস্থিত হইলাম এবং তঁহাকে এই বিৱাহের কথা জিজ্ঞাসা করি।- লাম । তিনি অমানবদনে বিবাহের কথা স্বীকার করিলেন। আমি তখন বলিলাম, “আমি আপনার বিবাহে বাধা দিতে আসি নাই। আপনি একটা কেন, সাতটা বিবাহ করুন, তাতে আমার ক্ষতিবৃদ্ধি নাই। এই রকম একটা কিছু হবে-আপনার জামাতা আমার মনে এই সন্দেহ 8