পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জন্মাইয়া দেওয়ায় আমি ইচ্ছা করিয়াই ঐ স্ত্রীলোককে সঙ্গে আনি নাই । তবে আপনাকে একটি কথা বলিয়া যাই যে, আপনার কন্যার জন্য আমি যে বিবাহ স্থির করিয়াছিলাম, আপনি এই কাৰ্য্য করিলে আমি সে বিবাহ কিছুতেই হইতে দিব না। আপনার এই বিবাহের কথা শুনিলে, আমার বন্ধু যে আপনার কন্যাকে বিবাহ করিতে সম্মত হবেন না, এ কথা আমি নিশ্চয়ই জানি। আমার কথা আমি বলিয়া গেলাম, এখন আপনি যা খুঁসি তাই করিতে পারেন। —” এই কথা বলিয়াই আমি সেখান হইতে চলিয়া গোলাম । তাহার পর তিন চারি দিন আর আমি বাঙ্গালী বাবুদের পাড়ায় যাই নাই। আমাকে দীর্ঘকাল অনুপস্থিত দেখিয়া একদিন অপরাইকালে হরিশবাবু আমার বাসায় আসিয়া উপস্থিত হইলেন। আমাকে দেখিয়াই তিনি বলিলেন, “আর ! শুনেছ হে মতি ! বামাচরণ বাবুর বিয়ে যে ভেঙ্গে গেল ।” আমি বলিলাম-“কি রকম৷ ” হরিশবাবু বলিলেন—“তুমি আবার ন্যাক সাজােছ কেন ? বিয়ের সব ঠিক হয়ে গিয়েছিল-কাছারীতে নোটীশ পৰ্য্যন্ত দেওয়া হয়েছিল-আর মাঝখান থেকে তুমি এসে তাকে ভয় দেখিয়ে গেলে যে, তিনি যদি এই বিয়ে করেন, তাহ’লে তঁর মেয়ের বিয়ে ভেঙ্গে দেবে ।- "সেই দিন থেকে বামাচরণ বাবু আর ও মুখে হন না। শুনলুম। “বামাচরণবাবু সেই খৃষ্টাননীটাকে বিবাহ কৰ্ব্বেন না বলে চিঠি লিখে পাঠিয়েছেন। বামাচরণবাবুর চাকর কা’ল আমাকে বলছিল যে, সে সেই স্ত্রীলোকটার বাড়ী গেলে, স্ত্রীলোকটা অনেক কান্নাকাটা করেছিল—আর বামাচরণবাবু যাতে তার সঙ্গে একবার দেখা করেন, তার জন্য অনেক ক’রে অনুরোধ করে পাঠিয়েছিল। চাকরের কাছে এই কথা শুনবার পরও না কি বামাচরণবাবু ዓ (ሱ