পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেই দিকে যান নাই! তোমার বাপু, বসেত আর কােজ নেই-নিজে ত বিয়ে থাওয়া কল্পেই না, আর কেউ যে বিয়ে করে ঘর সংসার করে, তাও যে তুমি দেখতে পার না।”

  • হরিশবাবুর সঙ্গে যে দিন আমার কথাবাৰ্ত্ত হয়, তার পর দিন প্ৰাতঃকালে আমি বাসায় বসিয়া আছি, এমন সময় বামাচরণবাবু তাড়াতাড়ি আসিয়া আমাকে বলিলেন, “মতিবাবু শিগগির কাপড় নিয়ে বেড়িয়ে আসুন, বিশেষ দরকার।” আমি দেখিলাম। তিনি হাপাইতেছেন—তঁাহার মুখ চোখের অবস্থা কেমন হইয়া গিয়াছে। বুঝিলাম বিশেষ কোন বিপদে পড়িয়াই তিনি আমাকে ডাকিতে আসিয়াছেন। আমি ব্যস্তভাবে বলিলাম “কি হয়েছে, বলুন না।” তিনি বসিলেন, “আপনি আর বিলম্ব করবেন না, রাস্তায় সব বলব।” আমি তাহার সঙ্গে বাহির হইয়া পড়িলাম।

রাস্তায় আসিয়াই তিনি বলিলেন, “মতি বাবু সৰ্ব্বনাশ, হয়েছে। এইমাত্র খবর পেলুম, মিসেস দাস নাকি বিষ খেয়েছেন। যে চাকর খবর নিয়ে এসেছিল, তার মুখে শুনলুম যে, এখনও তার দেহে প্ৰাণ আছে। আমি তাকে ডাক্তারের বাড়ীতে পাঠিয়ে দিয়েই দৌড়ে আপনার কাছে এসেছি। দেখুন, যে করে হোক, তাকে বাচাতে হবে।” আমি বলিলাম, “তা হলে একটু তাড়াতাড়ি চলুন।-ডাক্তার যদি এখনি এসে পৌছায়-এ আর যদি বেশী বিলম্ব না হয়ে থাকে-আর বিষও যদি তেমন তীব্র না হয়, তা হ’লে হয় তা তাকে বাচাতে পারা স্নাবে।” বৃদ্ধ বামাচরণবাবু আমার হাত চাপিয়া ধরিয়া বলিলেন, “মতিবাবু, এখন সব কথা ভুলে যান—এখন শুধু মনে রাখুন যে, এই বিদেশে একটী বাঙ্গালী স্ত্রীলোক নিজের প্রাণনাশ করতে বসেছে।” আমি বলিলাম, “সে সব কথা এখন মনে করবার সময় নয়। যা হবার তা হয়ে গেছে, আমরা থাকতে, তাকে বিনা চিকিৎসায় মরতে দেব না ।” বৃদ্ধ বামাচরণবাবুর সে সময়ের ዓNኃ