পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নসীবের লেখা । ( S) “ওরে অলপ্লেয়ে, ভাত ভাত যে করিস, ভাত আসে কেমন ক’রে, তার কোন খবর রাখিস ?” মায়ের মুখে এই রূঢ় কথা শুনিয়া পুত্ৰ অলিমাদী ছলছল নয়নে মায়ের মুখের দিকে চাহিল ; তাহার পর অতি কাতরস্বরে বলিল, “হারু পরামাণিক কা’ল যেতে ব’লেছে মা ! কা’ল থেকে তাদের কাজ ক’রব।” মাতা বলিলেন, “আবার তাদের একটা গরু, হারিয়ে যাক, তাই নিয়ে শেষে হেঙ্গাম হুজ্জত হ’ক ৷” আলি বলিল, “মা, মণ্ডলদের ছাগল ত আর আমার দোষে হারায়নি। আমি কত ব’ল্লাম যে, আমি তেরটা ছাগল এনে খোয়াড়ে বন্ধ ক’রেছিলাম। রাত্তিরে কে একটা নিয়ে গেল, ওরা বলে আমি মাঠে হারিয়ে এসেছি । মণ্ডলের বীে আবার বল্লে যে, আমি চুপে চুপে ছাগলটা বেচে ফেলেছি। তাইতে ত ওদের বাড়ীর রাখালী ছেড়ে দিলাম।” - মাতা বলিলেন, “এখেনেও যদি আমনই হয়, তখন কি হবে ?” আলি বলিল, “মা, তা হ’লে বুঝব আল্লা আমার নসীবে এই সব क्षिgथुgछन् ।” মাতা তখন একটু কোমলস্বরে বলিলেন, আমি কি আর ইচ্ছে ক’রে তোরে বাকি ; কার ভাত খাচ্চিসতা জানিস্ত অলি বলিল, “সেই জন্যই ত মা, তোমারে আবার নিকে পুষতে