পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আবাদ কর ; তাতেই বেশ দিনগুজরাণ হবে। ও সব লাঠালাঠির আর দরকার নেই।” অন্য সময় হইলে অন্যের মুখে শুনিলে সাধু এই প্রস্তাবে কৰ্ণপাত করিত না ; কিন্তু এই এক মাসেই সাধু সর্দারের লাঠির বহর একহাত কমিয়া গিয়াছিল ; যে সাধুর কোন পরওয়া ছিল না, সেই সাধু এই এক মাসের মধ্যেই আর এক রকম হইয়া গিয়াছিল। স্ত্রীর কথা শুনিয়া সাধু অনেকক্ষণ দুই হাঁটুর মধ্যে মাথা গুজিয়া ভাবিল ; তাহার পর বলিল, “যা’ক, সেই ভাল। আর ও-সব ভালও লাগে না।” সে তাহার পর জমিদারের কৰ্ম্ম ত্যাগ করিল। জমিদার মহাশয় কত অনুরোধ করিলেন, কিন্তু সে তাহার পরিবারের পরামর্শ অগ্রাহা করিতে পারিল না ; জমিদার বাবুকে সেলাম করিয়া বলিল, “কৰ্ত্তা মশাই, বড় একটা কিছু বাধলে খবর দেবেন, সাধু লহমার মধ্যে দশ কোশ পথ উড়ে আসবে।” সাধু সর্দার তখন পাকা বাঁশের লাঠি তিনখানি ঘরের কোণে ফেলিয়া দিল ; শ্বশুরের লাঙ্গল গরু লইয়া চাষের কাৰ্য্যে মন দিল । গ্রামের কেহ। কখন সাধুকে লাঠি খেলিতে বলিলে সাধু বলিত, “সে সব গঙ্গাপারে রেখে এসেছি ; ও কৰ্ম্ম আর না ।” ՎգՓ «ՀՀՀ পরেই সাধুর একটি পুত্রসন্তান श्ब् সাধু তাহার ଜnta রাখিল অলিমদী সেখ—সর্দার উপাধিটাও সে মুছিয়া ফেলিল। দশ বৎসর সুখে কাটিয়া গেল ; সাধুর আর সন্তান হইল না। সাধুর স্ত্রী তাহাকে বলিয়াছিল অলিকে চাষের কাজে নিযুক্ত না করিয়া হয় লাঠিখেলা শিক্ষা দেওয়া হউক, অথবা তাহাকে পাঠশালায় দেওয়া হউক। সাধু এই দুই প্ৰস্তাবেই অসম্মত হইয়াছিল; সে বলিয়াছিল “দেখ বীে, লাঠিখেলা আমি আর ওকে শিখাব না। যে দিন কা’ল by R