পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পড়েছে, তাতে ও কসরত আর শিখে কাজ নেই ; দাঙ্গা ফেসাদ এখন আর শিখে কাজ নেই ; দাঙ্গা ফেসাদ এখন আর চলবে না। কোম্পানীর কাছে গেলেই যখন সকল গোলের রফা হয়, তখন ও সব আর দরকার হবে না । তবে লেখাপড়া-তা দেখ, আমাদের চাষার ছেলে লেখাপড়া শিখলে বাবুভেয়েদের মত হ’য়ে যায় ; বাপ বড়বাপের চাষ আবাদের দিক বড় নজর দেয় না । লেখাপড়া শিখিয়ে ছেলেটার পায়া ভারি ক’রে কােজ নেই। আর এখনও ত ওর উমর এগার বছর। এখন ও খেলা ক’রেই বেড়াক । আমি যে কয়দিন আছি, সে কয়দিন ওকে আর ভাবতে হবে না। তারপর আমাদের এই জমাজমি চাষ আবাদ ক’রেই ও বেশ দিনগুজরাণ করতে পারবে।” সুতরাং অলিমদী কোন কাজই করিত না ; সময়মত বাড়ীতে আসিয়া আহার করিত, আর নিজের মনে খেলা করিয়া বেড়াইত । এই সময়ে একদিন সাধুর শরীর বড়ই অসুস্থ বোধ হইল ; রাত্রিতে কম্প দিয়া জ্বর আসিল। তিন দিন আর সে জর ছাড়িল না। চতুর্থ দিনে অলিমাদী কবিরাজ ডাকিয়া আনিল; কবিরাজ সাধুকে পরীক্ষা করিয়া বলিল, “জ্যর আজই কমে যাবে, কিন্তু গায়ে বোধ হয়। ঠাকরুণ বাহির হইবে।” কবিরাজের কথাই ঠিক হইল, সাধুকে বসন্তরোগে ধরিল। দশদিন চিকিৎসার পর সাধু স্ত্রীপুত্ৰকে কঁাদাইয়া চলিয়া গেল। সাধুর স্ত্রী নাবালক ছেলেটি লইয়া আকুল সাগরে পড়িল ; কেমন করিয়া দিনপাত হইবে, তাহা সে ভাবিয়া পাইল না। ( ܘ ) তখন পার্থের গ্রামের জমির সেখ তাহদের ব্ৰাড়ীতে ৰােড়ই আনাগোনা আরম্ভ করিল। সাধুর স্ত্রীর বয়স তখনও ত্রিশ বৎসর হয় নাই ; তাহার 79