পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সৌন্দৰ্য্যও তখন যায় নাই। জমির সাধুৱ স্ত্রীকে একদিন বলিল, “দেখ, তোমাদের বড় কষ্ট হচে । যে জমাজমি আছে, ছেলে মানুষ কি তা রক্ষা করতে পারবে, বার ভূতে সমস্ত লুট খাবে। তার চাইতে এক কাজ কর। আমি তোমাকে নিকে করি। আমার যে দুচার বিঘে জমি ' আছে, তার সঙ্গে তোমাদের জমিও চাষ আবাদ করব, তা হ’লে যেমন ভাবে তোমাদের চলে যাচ্ছিল, তাই হবে, কোন কষ্টই হবে না ; ছেলে&ि भांश् श्tद ।” জমিরের এ প্রস্তাব সাধুর স্ত্রীর ভাল বোধ হইল না ; সে বলিল, “না, আর আমি নিকে ক’রব না। কষ্টেস্বষ্টে ছেলেটাকে মানুষ করতে পারলে আর আমাদের দুঃখ থাকবে না। তুমি যদি একটু দয়া করি, তা হ’লে আমাদের জমি থেকে যা হবে, তাতেই আমাদের বেশ চলে যাবে । কি व्यः ?” জমির বুদ্ধিমান ছিল ; সে মনে করিল, তাড়াতাড়ি করিয়া কাজ নাই; দুচারি মাস যােকই না ; তখন দেখা যাইবে। জমির যাহা ভাবিয়াছিল তাঁহাই হইল। তাহার প্রলোভনে সাধুর স্ত্রীর সঙ্কল্প ঠিক রহিল না। একদিন সে জমিরকে নিকা করিতে সম্মত হইল। এগার বৎসরের ছেলে অলিমাদী যখন শুনিল যে, তাহার মায়ের সহিত জমিরের নিকা হইবে, তখন সে মাতাকে অনেক নিষেধ করিয়াছিল ; কিন্তু তাহার মাতা তাহাকে বলিল, “তোর ভালর জন্যই এ কাজ করছি ; এতে তোর একটা হিল্পে হবে, নইলে যা-কিছু আছে সব বেহাত হ’য়ে যাবে।” অলিমাদী মায়ের বিবাহে আগ্রহ দেখিয়া নীরব হইল। তাহার পর যথাসময়ে অলিমদীর মাতার সহিত জমিরের বিবাহ হইয়া গেল। অলিমদীর মাতা তাহদের বাড়ী : ঘর দুয়ার বিক্রয় করিয়া ছেলেটিকে লইয়া জমিরের বাড়ীতে উঠিয়া গেল। তখন জমির নিজ মূৰ্ত্তি ケ8