পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধারণ করিল। সে ইতঃপূর্বেই জমিদারের নায়েবের সহিত পরামর্শ করিয়া সাধুর জমি কয়খানি গ্ৰাস করিবার ব্যবস্থা করিয়াছিল। এখন তাহা প্ৰকাশ হইয়া পড়িল । একদিন জমির বাড়ীতে আসিয়া তাহার স্ত্রীকে বলিল, “এ সব কি ব্যাপার, বুঝতে পারি না। তোমাদের জমির আজ তিন বৎসরের খাজনা বাকি , তা ছাড়া বকেয়া বাকীও অনেক টাকা। নায়ের মশাই বল্লেন যে, এই মাসের মধ্যে যদি বেবাক টাকা চুকাইয়া না দেওয়া হয়, তা হ’লে সমস্ত জমি তারা অন্যের সঙ্গে বন্দোবস্ত ক’রে দেবেন। কৈ, এত বাকীর কথা ত তুমি একদিনও আমাকে বল নাই ?” তাহার স্ত্রী বলিল, “সে কি কথা! আমি ত কিছুই জানি না। খাজনা যে এতদিনের বাকী আছে, কি ক’রে জানিব ।” জমির বলিল, “সাধু সর্দারকে সকলেই ভালবাসত, নায়েব মশাইয়ের সঙ্গেও তার খুব দহরম মহরম ছিল ; তাই তা; আর ও সম্বন্ধে তাগাদ করেন নাই, সাধুও সে কথা ভাবে নাই। এখন মহা বিপদ! আমি এত টাকা কোথায় পাব ? এখন কি করা যায়, তাই বল ?” তাহার স্ত্রী বলিল, “আমি মেয়ে মানুষ, “আমি কি বলব ; যাতে ভাল হয়, তাই কর । জমিটুকু গেলে ছোড়াটার কি হবে ?” সি জমির বলিল, “আমার হাতে ত আর নিশা পঞ্চাশ নেই যে, তাই দিয়ে তোমাদের জমি বাঁচাই ; আর সাধুও দুপিয়সা রেখে যায় নি! এমন জানলে আমি এ সব গোলের মধ্যেই যেতাম না। পরের বালাই ঘাড়ে ক’রে এখন আমি বাড়ী আর কাছারী করি।” এই কথার আর উত্তর নাই ; অলিমন্দীর মাতা মাথায় হাত দিয়া ভাবিতে লাগিল। তাহার কোন কথাই বুঝিতে বাকী রহিল না। কিন্তু সে স্ত্রীলোক ; এ বিপদে যে কি করিতে হইবে, কাহার আশ্রয় লইতে ゲ@