পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হইবে, তাহা সে ভাবিয়াই পাইল না। এ দিকে জমির জমিদারের নায়েবের সহিত যোগ দিয়া সাধুর সমস্ত জমি নিজের নামে বন্দোবস্ত করিয়া লইল। অলিমদীর মাতা যখন এই কথা শুনিল, তখন সে একটি দীর্ঘনিঃশ্বাস ত্যাগ করিয়া নীরব হইল। জমিরের ব্যবহার ক্রমেই কঠোর হইতে লাগিল। অলিমদীর উপরই তাহার রাগ বেশী হইল ; কিন্তু এ রাগের কারণ কি, তাহ কেহই খুজিয়া পাইল না । বেগতিক দেখিয়া আলির মাতা পুত্ৰকে মণ্ডলদের বাড়ীর রাখালীতে নিযুক্ত করিয়া দিল ; কিন্তু সে সেখানে অনেক দিন থাকিতে পারিল না ; একটা ছাগল হারাইয়া যাওয়ায় মণ্ডলের আলিকে বিদায় করিয়া দিল । * এই গল্পের আরম্ভেই মাতা ও পুত্রের যে দিনের কথোপকথন বর্ণিত হইয়াছে, সেই দিন প্ৰাতঃক্লালে জমিরের মেজাজটা কি জানি কেন বড়ই খারাপ হইয়াছিল। প্ৰথমে সে এটা ওটা বলিয়া স্ত্রীর উপর যথেষ্ট বাক্যবাণ বর্ষণ করিল ; কিন্তু জমিরের স্ত্রী বড়ই ভালমানুষ ; সে একটি কথারও উত্তর দিল না। কথার উত্তর না পাইলে কোন দিনই ঝগড়া বা কথা জমে না। ; এ ক্ষেত্রেও তাই হইল ; জমিরের সকল দুৰ্ব্বাক্যই ব্যর্থ হইয়া গেল, তাহার স্ত্রী কৈান কথারই প্ৰতিবাদ করিল না। জমির তখন স্ত্রীকে ছাড়িয়া তাহার পুত্রের উপর গালি বর্ষণ আরম্ভ করিল ; বলিল, “দেখ দেখি, এত বড় ছেলেটা, কাজকৰ্ম্ম কিছুই করবে: না ; শুধু ব’সে ব’সে গিলবে। কেন, আমি কি ওর সাতপুরুষের দেনাদার। ও আমার কে যে, আমি ওকে এমন করে খেতে দেব ? কথা কও না যে ?” রমণী সমস্তই সহ্য করিতে পারে ; সকল নিৰ্য্যাতন, সকল অপমান সে মাথা পাতিয়া লইতে পারে ; শুধু পারে না। দুইটি কথা ; একটি তাহার