পাতা:পরাধীন প্রেম - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চাকরি আরম্ভ করার পর আজকাল আবার একজন ওরকম কন্ধর জন্যে চেয়ে প্রাণীটা ব্যাকুল হয়। উমার । আগে তব এক ধরনের ভাব ছিল বাড়ির লোকের সঙ্গে, ঘর-সংসারের বিষয় প্রাণ খলেই আলোচনা করা যেত সবাই বসে, তকভিকি রাগারগি হয়ে গেলেও যেন তিৰুতা সন্টি হত না তেমন কিছ, মনের ভাবটা মোটামটি খোলাখালি ভাবেই প্রকাশ করা যেত । চাকরি করে সংসারের দায়িত্ব নেবার পর বাড়ির লোকেরাও কেমন যেন দরে সরে ö液毯 সে যে শান্ত হাতে হাল ধরবে সংসারের, এটা পছন্দ করতে পারছে না কেউ - বাচ্চা থেকে বড়ো পর্যন্ত সকলেই এজন্য তার উপর কম বেশী বিরক্ত ও ক্ষধি । রোজগার করুক, তারই জন্য হলে আবার পানি লাগক প্রায় অচল সংসারটার, কিন্তু তব তো সে মেয়ে! সকলে আশা করেছিল সে মেয়ের মতই নাম হয়ে, নত হয়ে সর্বদা হালকা হাসিখশি ভাবে ডগমগ হয়ে থাকবে, কোমল আর স্নেহপণ্য হবে তার কথা ও ব্যবহার, তাকে দবােল কাব্য করে রাখবে অন্যের মান অভিমান । গারতের বিষয়ে অবশ্য পরামর্শ নেওয়া হবে তার, কিন্তু এতকাল যারা যে কায়দায় সংসার চালিয়ে এসেছে তারাই আসলে সংসারটা চালাবে, সব বিষয়ে তারাই মাথা | } হরিপ্রসন্ন থাকতে তার কি দরকার সংসার নিয়ে দাঁশ্চিন্তা করার, আনাড়ি হাতে সংসারের ছোট বড় দায় যেচে নিয়ে এত হাঙ্গামা করার ? রীতিমত ক্ষন্ধে হয়ে আছে হরিপ্রসন্ন । তার ব্যবস্থা বাতিল করে উমা নতুন ধ্ব্যবস্থা চাল করেছে তার সংসারে, কড়াকড়ি করছে নানা দিকে । পারলে মেয়ে যেন তাকেও শাসন করে। চিরকালের রীতি অনসারে কাঁচা বাজার আর তেল-নিনের খরচের টাকাটা মা’র হাতে তলে দেয় । বাকী সব খরচ রাখে নিজের হাতে। মঙ্গত একটা বাঁধানো খাতা কিনেছে জমা-খরচের জন্য । বলে, হিসেব না রেখে আজকালকাব দিনে খরচ-পাষ্ট্র করা যায় ? কোনটা না হলেই নয়, কোনটা কতটক টানা যায়, কোনটা স্রেফ বাজে খরচ হচ্ছে এসব খাঁটিয়ে খাটিয়ে হিসাব রেখে কোনরকমে যদি সামাল দেওয়া যায় ! শনে হরিপ্রসন্ন মািখ বাঁকায়। এতকাল তো দিব্যি সে চালিয়ে এসেছে খাঁটিনাটি হিসাবের খাতা ছাড়াই। ধোপার একটা খাতা ছাড়া কোন খাতাই দরকার হয়নি। সংসার চালাতে চালাতে মানষের আপনা থেকেই জানা হয়ে যায় কোনটাতে কি রকম খরচ লাগে । হিসাবের খাতা করুক, টিপে টিপে টাকা খরচ করুক, তাও তব সহ্য করতে পারে বাড়ির লোকে। হিসাবের খাতাটা করার ফলে আর ঘাই হোক সকলকে বশ্চিত করে