পাতা:পরাধীন প্রেম - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঃঃ আমার আসল কথাটা তমি বকিতে পারছি না। সবই মানলাম।---সব ব্যবস্থাই তামি করবে। কিন্ত এখনকার মন কি তোমার থাকবে ? মনপ্রাণ দিয়ে না করলে এ পোস্টের কাজ ঠিক মত করা অসম্ভব । অভিনেতার মত ঠোঁটে আঙ্গল চাপা দিয়ে তাকে ইঙ্গিতে কথা বলতে বারণ করে, ধীরে সপেথ মোটা বিলাতী সিগারেটটা ধরিয়ে নিয়ে পরম আরামে সিগারেটে টান দিয়ে চন্দ্রনাথ আবার বলে, অক্ষতত আমি তাই মনে করি । এখন তোমার চাকরিগত প্ৰাণতোমার চাকরির ওপর সংসার নিভাির করছে । চাকরি ছাড়া তোমার অন্য ইস্টারেস্ট নেই, অন্য চিন্তা নেই । চাকুরে একজনের সঙ্গে বিয়ে হলে তোমার জীবনে অন্য ইস্টারেস্ট আসবে, মনে অন্য চিন্তা জাগবে । চাকরির মায়াও তোমার কমে যাবে-তোমার চাকরি থাক বা না থাক, আর একজনের তো থাকছে ! উমা চুপচাপ দাঁড়িয়ে ভাবে । চন্দ্রনাথ মিষ্টি সরে বলে, খাব নিষ্ঠর মনে হচ্ছে আমাকে ? কিন্ত কি করব বলএটাই আমার প্রিন্সিপল । অফিসের ব্যাপারে। আমি কোন সেন্টিমেন্টের ধার ধারি না, এ ক্ষেত্রে ওসব হিসােব আমার কাছে বাতিল । কারো জন্যে আমি এ নিয়মের এদিকওদিক করব না, নিজের বাপ-ভাই বৌ-ছেলেমেয়ের খাতিরেও নয়। সখেদে নিঃশবাস ফেলে চন্দ্রনাথ বলে, তমি বিশ্ববাস করবে না - আমার নিজের খাতিরেও কখনও এ নিয়মের এ হিসেবের এতটুকু এদিক ওদিক করি নি, কখনও করব না । আমার নিজের মনে যত কণ্টই হোক।--নিয়ম তো আমার মনের কােস্টকে খাতির করবে না । ক্ষমা করা যায় না। এরকম একটা দোষ করেছিল বলে আমার এক শালাকে বরখাস্ত করেছিলাম-সোঁ ক’বছর আগেকার কথা । শালাটির চাকরি গেলে তার অধস্থা কাহিল হবে জানতাম--কিন্ত, কি করব ! মোটে দু'তিন বছর বিয়ে হয়েছিল । আমার স্ত্রী ভয়ানক রেগে গিয়ে জানিয়েছিলেন অফিস থেকে তার ভাইকে তাড়াতে হলে তাকেও বাড়ি থেকে তাড়াতে হবে । বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন, এক বছরের বেশি সম্পক রাখেন নি । তব, আমি শালাকে কাছে ফিরিৱে निई नि । উমা খানিকক্ষণ চুপ করে থেকে বলে, আপনার কথা বঝেছি। একটা দটাে দিন একটু ভেবে দেখি ।

छीछे नाG ना म'qको मिग ?

ঃ ছটি নেবার দরকার হবে না । বিদায় নিয়ে দঢ়পদে সে বেরিয়ে যায়। ভাইকে চাকরি থেকে তাড়াবার জন্য চন্দ্রনাথের স্ত্রী যে রাগ করে বছরখানেক বাপের বাড়ি কাটিয়ে আসবে সেটা আশ্চর্য নয়। প্রৌঢ় বয়সে চন্দ্রনাথের আরও একবার বিয়ে করার ঝোঁক চেপেছিল । বয়স্থ মেয়ে খািজছিল এ-কে দিয়ে ও-কে দিয়ে। SO